Sunday, January 19, 2025

আজানের জবাব দেওয়া

 আজান ইসলামের মৌলিক আহ্বান। আজান শুনে মানুষ নামাজের প্রস্তুতি গ্রহণ করে। আজানের সময় এটা শোনা এবং তার জবাব দেওয়া গুরুত্বপূর্ণ সুন্নত।‌ প্রত্যেক আজানের জবাব দেওয়ার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

আবু সাঈদ খুদরি (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘যখন তোমরা আজান শুনতে পাও তখন মুয়াজ্জিন যা বলে তোমরাও তার অনুরূপ বলবে।’ (বুখারি, হাদিস : ৫৮৪)
মুয়াজ্জিন প্রত্যেকটি বাক্য বলে থামার পর শ্রোতাদের ওই বাক্যটির মাধ্যমে আজানের জবাব দিতে হয়। তবে সামান্য একটু পার্থক্য আছে। ‘হাইয়া লাস সলাত ও হাইয়া লাল ফালাহ’ বলার সময় ভিন্ন বাক্যে জবাব দিতে হয়।
ইয়াহয়া ইবনে আবু কাসির (রহ.) বলেছেন, আমার কোনো ভাই আমার নিকট বর্ণনা করেছেন যে মুয়াজ্জিন যখন হাইয়া লাস সলাত বলল, তখন মুয়াবিয়া (রা.) বলেন, ‘লা হাওলা ওয়ালা কুওয়াতা ইল্লা বিল্লাহ।’ তারপর তিনি বললেন, তোমাদের নবী (সা.)-কে আমরা এরূপ বলতে শুনেছি। (বুখারি, হাদিস : ৫৮৬)
আজানের জবাব দিয়ে মুয়াজ্জিনের সব পর্যায়ের সওয়াব পাওয়া যায়। আব্দুল্লাহ ইবনে আমর (রা.) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, এক ব্যক্তি বলেন, হে আল্লাহর রাসুল! মুয়াজ্জিনরা তো আমাদের ওপর ফজিলতপ্রাপ্ত হচ্ছে। আমরা কিভাবে তাদের সমান সওয়াব পাব? তিনি বলেন, মুয়াজ্জিনরা যেরূপ বলে, তুমিও তদ্রূপ বলবে। অতঃপর যখন আজান শেষ করবে, তখন আল্লাহর নিকট প্রার্থনা করলে তুমিও তদ্রূপ সওয়াবপ্রাপ্ত হবে।
(আবু দাউদ, হাদিস : ৫২৪)
আজানের পর দরুদ শরিফ পাঠ করে দোয়া করতে হয়। এর মাধ্যমে রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর শাফায়াত পাওয়ার সৌভাগ্য নসিব হবে। জাবির ইবনে আবদুল্লাহ (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল (সা.) বলেছেন, যে ব্যক্তি আজান শুনে দোয়া করে—‘আল্লাহুম্মা রব্বা হাজিহিদ দাওয়াতিত তাম্মাহ, ওয়াস সালাতিল কয়িমাহ, আতি মুহাম্মাদানিল ওয়াসিলাতা ওয়াল ফাদিলাহ, ওয়াব‘আসহু মাকামাম মাহমূদানিল্লাজি ওয়াদ্দাহ’ কিয়ামতের দিন সে আমার শাফাআত লাভ করবে। (বুখারি, হাদিস : ৫৮৭)
May be an image of 3 people
Dhms

No comments:

Post a Comment