বড়সড় একটা হাতি নদীতে গোসল সেরে তার মালিকের
বাড়ীর পথে যাচ্ছিল। একটা সাঁকোর কাছে আসার পর সে দেখলো বিপরীত দিক থেকে একটা কাদামাখা
কদাকার শুয়োর আসছে। হাতিটি একপাশে সরে গিয়ে কাদামাখা কদাকার শুয়োরটার জন্য পথ করে দেয়।
আর হাতিও তার পথে যেতে থাকে। ডেরায় ফেরার পর কাদামাখা কদাকার শুয়োর তার বন্ধুদেরকে
মজা করে বললো “দ্যাখ আমি কত্ত বড়। একটা বড় হাতিও “ভয়ে” আমাকে পথ ছেড়ে দেয়, হা হা হা।”
এটা শুনে হাতির বন্ধুরা বেশ অস্বস্তি বোধ করে।
ওরা কাদামাখা কদাকার শুয়োরের কথার একা সমুচিত জবাব চায়। তারা চেচিঁয়ে বল্লো আমরা কি
এতই ভীতু?
সদ্য নাইয়ে আসা হাতিটি মুচকী হেসে বন্ধুদেরকে
বল্লো, “দ্যাখ বন্ধুরা, পুঁচকে কাদামাখা কদাকার শুয়োরকে পায়ের তলায় পিষে মারা আমার
পক্ষে কোন ব্যাপারই ছিল না। কিন্তু আমিতো গোসল করে এসেছি আর ও ছিল নিতান্তই অপরিষ্কার,
অপরিচ্ছন্ন। আর ওকে পায়ের তলায় পিষে দিলে আমার পা ৪টিও অপরিষ্কার, অপরিচ্ছন্ন হতো,
তাই না? তাই আমি আস্তে এক পাশে সরে গিয়ে ওর জন্য পথ করে দিয়েছি। এটা ছিল আমার পজিটিভ
মনেরই উপস্থিতি, তাইনা। হাতির বন্ধুরা ইতিবাচক মাথা নোয়ালো।
সারমর্মঃ আমরা যেনো “নেগেটিভ” মনের ভয়ে কখনোই
না থাকি আর নোংরা অপবিত্রতাকে সব সময়ই দূরে রাখি। নোংরা, অপবিত্ররা কী কমেন্ট করলো,
ভঙ্গীতে কমেন্ট করলো সেটা আমাদের গায়ে মাখার কী দরকার!
জীবনে কোন “ড্রামা” করার দরকার নেই-সামনে এগিয়ে
যাও।
“উত্তম নিশ্চিন্তে চলে অধমের সাথে,
তিনিই মধ্যম যিনি চলেন তফাতে।”
তিনিই মধ্যম যিনি চলেন তফাতে।”
-রবীন্দ্রনাথ
“কুকুর আসিয়া এমন কামড়
দিল পথিকের পায়
কামড়ের চোটে বিষদাঁত ফুটে
বিষ লেগে গেল তাই।
ঘরে ফিরে এসে রাত্রে বেচারা
বিষম ব্যথায় জাগে,
মেয়েটি তাহার তারি সাথে হায়
জাগে শিয়রের আগে।
বাপেরে সে বলে ভর্তসনা ছলে
কপালে রাখিয়া হাত,
তুমি কেন বাবা, ছেড়ে দিলে তারে
তোমার কি নাই দাতঁ?
কষ্টে হাসিয়া আর্ত কহিল
“তুই রে হাসালি মোরে,
দাঁত আছে বলে কুকুরের পায়ে
দংশি কেমন করে?”
কুকুরের কাজ কুকুর করেছে
কামড় দিয়েছে পায়,
তা বলে কুকুরে কামড়ানো কি রে
মানুষের শোভা পায়?”
-শেখ সা’দী