Wednesday, May 2, 2018

মলমূত্র ত্যাগ, ইসলামী দিক


মল-মূত্র ত্যাগের জন্য উপযুক্ত স্থান হচ্ছে বিশেষভবে ডিজাইনকৃত ও নির্মিত অথবা বাড়ির প্রান্তে  স্বাস্থ্যসম্মত পায়খানা তৈরী করা। এক্ষেত্রে নিম্নোক্ত বিধান মানতে হবেঃ
১. পায়খানায় প্রত্যেক মুসলমানকে প্রথম বাম পা ফেলে প্রবেশ করতে হবে, বিসমিল্লাহ আল্লাহুম্মা ইন্নি আউজুবিকা নিাল খুবসি ওয়াল খাবাযেছ (আল্লাহর নামে প্রবেশ করছি, হে আল্লাহ তোমার কাছে সব রকম কুচিন্তা ও কুকর্ম থেকে পানাহ চাই) ।
২. কাউকে সাথে নিয়ে পায়খানায় যাবে না অথবা শরীরের গোপনাঙ্গ অন্যের সামনে উন্মুক্ত করবে না, যেমনটি পেশাবখানায় গিয়ে মানুষ দাঁড়িয়ে স্থায়ীভাবে নির্মিত পাত্রে প্রস্রাব করে। এ ধরনের পেশাবখানায়, একজন আরেকজনকে যাতে না দেখতে পায়, এমন মোটা স্ক্রীন বা পর্দা টাঙ্গাইতে হবে।
৩. খোলা পায়ে পায়খানায় প্রবেশ উচিত নয়। ধূলা-ময়লা বা মারাত্মক রোগ জীবানু যাতে শরীরে প্রবেশ করতে না পারে সেজন্যেই এই সাবধানতা।
৪. পায়খানায় প্রবেশের আগেই পোশাক খুলে ফেলা চলবে না। সর্বাধিক গোপনীয়তা ও শিষ্টাচার পালন করা প্রয়োজন।
৫. এরপর পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা প্রয়োজন। পেশাব করার পর গোপনাঙ্গ পানি দিয়ে ধৌত করা এবং পায়খানার ক্ষেত্রে প্রথমে টয়লেট পেপার ব্যবহার ও পরে সাবান ব্যবহার করলেও চলে (পানি বা সাবানের অভাবে ঢিলা বা বালি ব্যবহার করা যেতে পারে- অনুবাদক) ।
৬. পেশাব-পায়খানার সময় অথবা হাত ধোবার সময় ডান হাত ব্যবহার করা যাবে না। খাবার গ্রহণ, পানাহার, পবিত্র কুরআন স্পর্শ করা প্রভৃতি কাজে ডান হাত ব্যবহার করতে হবে। মলমুত্র ত্যাগের পর পরিচ্ছন্ন হওয়া, নাক ঝাড়া প্রভৃতি কাজে বাম হাতের ব্যবহারের মধ্যে সীমাবদ্ধ করতে হবে- যা ইসলামি বিধানের সাথে সঙ্গতিপূর্ণ।
৭. শরীর বা পোশাকে কোন প্রকার ময়লা যাতে না লাগে সেজন্য সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে এবং বরে পাকসাফ হওয়ার ব্যাপারে কোন প্রকার বাড়াবাড়ি কাঙ্ক্ষিত নয়।
৮. কোন মুসলমানের পক্ষে তার গোপনাঙ্গের প্রতি তাকানো অরুচিকর।
৯. কেবলামুখী হয়ে পেশাব পায়খানা করা মুসলমানর জন্য নিষিদ্ধ। কিবলামুখী অথবা কিবলাকে পিছনে ফেলে পেশাব পায়খানা নিষিধ্ধ। সুতরাং বাকী দু’দিকে এই কাজ সারত হবে।
১০. পায়খানার পর উঁচু হয়ে বসে পানি ব্যবহার করা উত্তম। তবে (বৃদ্ধদের বেলায়) বসে থেকে শারীরিক অসুবিধা হলে দাঁড়িয়ে পানি ব্যবহার করা নিষিদ্ধ নয়।
১১. জরুরী প্রয়োজন ছাড়া পেশাব-পায়খানার সময় কোন মুসলমানের পক্ষে হাঁটা চলা উচিত নয়। এ সয় কোন কিছু পড়াও নিষেধ।
১২. পায়খানা ছেড়ে না আসা পর্যন্ত কোন মুসলমান অন্য কারো সালাম বা স্বাগত সম্ভাষণের জবাব দেবে না। ফিরে এসে সে ক্ষমা চেয়ে তার প্রত্তুত্তর দেবে।
১৩. নিজের শরীর পুরোপুরি আবৃত করার পরেই মুসলমানদের পায়খানা ছেড়ে আসতে হবে।
১৪. গোসলকালে কোন মুসলমানের উচিত নয়, একইস্থানে পেশাবের পানি প্রবাহিত করা।
১৫. পায়খানা থেকে বের হয়ে তাকে বলতে হবে গোফরানাকা (হে আল্লাহ, আমার গুনাহ মাফ করে দাও)।
সূত্রঃ ড. মারওয়ান ইব্‌রাহিম আল কায়সি

No comments:

Post a Comment