গবেষণায় দেখা গেছে, খুব সাধারণ কিছু অভ্যাস থেকে শুক্রাণুর সংখ্যা কমে যেতে
পারে এমনকি শুক্রাণু তৈরী বন্ধও হয়ে যেতে পারে!
পুরুষদের বন্ধ্যাত্বের অন্যতম কারণ হচ্ছে- শুক্রাণুর সংখ্যা ও মান কমে যাওয়া। গবেষণায় দেখা গেছে, খুব সাধারণ কিছু অভ্যাস থেকে শুক্রাণুর সংখ্যা কমে যেতে পারে। শুক্রাণু সংখ্যা কমে যাওয়ার বিভিন্ন কারণ আমাদের চারপাশে রয়েছে। দৈনন্দিন অভ্যাস এবং অস্বাস্থ্যকর খাবার শরীরে শুক্রাণুর সংখ্যা কমে প্রজননক্ষমতা নষ্ট করে দিতে পারে।
পুরুষদের কিছু অভ্যাস তাদের যৌনস্বাস্থ্যের ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে যা গুরুত্বপূর্ণ। শুক্রাণুর গুণমান না থাকায় অনেক দম্পতিরা সমস্যার সম্মুখীন হয়।
খুব সাধারণ কিছু অস্বাস্থ্যকর দৈনন্দিন অভ্যাস এখানে তুলে ধরা হলো।
১. কোমল পানীয় পানের অভ্যাস
কার্বনেটেড ড্রিঙ্ক বা কোমল পানীয় এবং খুব ঠাণ্ডা পানীয় পছন্দ করেন, তাহলে শুক্রাণুর গতিশীলতা প্রভাবিত হতে পারে। দিনে এক বোতল কার্বনেটেড পানীয় পান করলেও শুক্রাণুর গতিশীলতা কমিয়ে দিতে পারে। তেমনি অত্যধিক বিয়ার পান করলে শুক্রাণু দুর্বল হয়ে পড়তে পারে। কারণ, কার্বনেটেড পানীয়তে অতিরিক্ত চিনি থাকে, যা শরীরে ইনসুলিন তৈরিতে বাধা সৃষ্টি করে এবং শুক্রাণু গতিশীলতা কমিয়ে দেয়।
কার্বনেটেড ড্রিঙ্ক বা কোমল পানীয় এবং খুব ঠাণ্ডা পানীয় পছন্দ করেন, তাহলে শুক্রাণুর গতিশীলতা প্রভাবিত হতে পারে। দিনে এক বোতল কার্বনেটেড পানীয় পান করলেও শুক্রাণুর গতিশীলতা কমিয়ে দিতে পারে। তেমনি অত্যধিক বিয়ার পান করলে শুক্রাণু দুর্বল হয়ে পড়তে পারে। কারণ, কার্বনেটেড পানীয়তে অতিরিক্ত চিনি থাকে, যা শরীরে ইনসুলিন তৈরিতে বাধা সৃষ্টি করে এবং শুক্রাণু গতিশীলতা কমিয়ে দেয়।
২. পকেটে ফোন রাখা
ফোনটি হারিয়ে যাওয়ার ভয়ে হয়তো প্যান্টের সামনের পকেটে রাখা নিরাপদ মনে করছেন। কিন্তু এটিও শুক্রাণুর জন্য সম্ভাব্য ক্ষতিকর। গবেষণায় দেখা গেছে স্মার্ট ফোন থেকে যে বিকিরণ বের হয় তা পুরুষদের প্রজনন নষ্ট করতে শতকরা ৯ ভাগ ভূমিকা রাখে।
ফোনটি হারিয়ে যাওয়ার ভয়ে হয়তো প্যান্টের সামনের পকেটে রাখা নিরাপদ মনে করছেন। কিন্তু এটিও শুক্রাণুর জন্য সম্ভাব্য ক্ষতিকর। গবেষণায় দেখা গেছে স্মার্ট ফোন থেকে যে বিকিরণ বের হয় তা পুরুষদের প্রজনন নষ্ট করতে শতকরা ৯ ভাগ ভূমিকা রাখে।
৩. কোলের ওপর ল্যাপটপ রাখা
নামটাই বলে দেয় যে ওকে কোলের ওপরেই রাখো। ল্যাপটপ কোলে রেখে ব্যবহার করতে হয়তো বেশি সুবিধাজনক লাগে। কিন্তু এই অভ্যাসের কারণে যে বাবা হয়ে একটি শিশু কোলে নেয়ার সম্ভাবনা কমিয়ে দেয়। হ্যাঁ, ল্যাপটপের মৌলিক কিছু উপাদান শুক্রাণুও হত্যা করতে পারে। যন্ত্রটি ঠাণ্ডা থাকা প্রয়োজন, যা অবশ্যই শরীরের বাইরে রেখে। কারণ, যখন ল্যাপটপটি কোলের ওপর রাখা হয়, এর গরম শরীরের সংস্পর্শে আসে। ফলস্বরূপ, শুক্রাণু মরে যেতে পারে।
নামটাই বলে দেয় যে ওকে কোলের ওপরেই রাখো। ল্যাপটপ কোলে রেখে ব্যবহার করতে হয়তো বেশি সুবিধাজনক লাগে। কিন্তু এই অভ্যাসের কারণে যে বাবা হয়ে একটি শিশু কোলে নেয়ার সম্ভাবনা কমিয়ে দেয়। হ্যাঁ, ল্যাপটপের মৌলিক কিছু উপাদান শুক্রাণুও হত্যা করতে পারে। যন্ত্রটি ঠাণ্ডা থাকা প্রয়োজন, যা অবশ্যই শরীরের বাইরে রেখে। কারণ, যখন ল্যাপটপটি কোলের ওপর রাখা হয়, এর গরম শরীরের সংস্পর্শে আসে। ফলস্বরূপ, শুক্রাণু মরে যেতে পারে।
৪. গরম পানির অতি ব্যবহার
সারা দিনের কাজ শেষে একটি দীর্ঘ উষ্ণ গোছল অবশ্যই কাম্য। তবে বাষ্পীয় গরম গোছল যেন তীব্র তাপমাত্রায় না হয় তাহলে শুক্রাণু ক্ষতি হতে পারে।
সারা দিনের কাজ শেষে একটি দীর্ঘ উষ্ণ গোছল অবশ্যই কাম্য। তবে বাষ্পীয় গরম গোছল যেন তীব্র তাপমাত্রায় না হয় তাহলে শুক্রাণু ক্ষতি হতে পারে।
৫. কম ঘুমানো
কম ঘুমালে শরীরে সব ধরনেরই সমস্যা হতে পারে। মন ও শরীরের সঠিকমাত্রায় বিশ্রাম হলেই শুক্রাণু হবে স্বাস্থ্যবান। কার্যকরী ও সক্রিয় শুক্রাণুর জন্য পরিপূর্ণ ঘুমের প্রয়োজন। সেক্ষেত্রে একজন পুরুষের ন্যূনতম সাত-আট ঘণ্টা ঘুমাতে হবে।
কম ঘুমালে শরীরে সব ধরনেরই সমস্যা হতে পারে। মন ও শরীরের সঠিকমাত্রায় বিশ্রাম হলেই শুক্রাণু হবে স্বাস্থ্যবান। কার্যকরী ও সক্রিয় শুক্রাণুর জন্য পরিপূর্ণ ঘুমের প্রয়োজন। সেক্ষেত্রে একজন পুরুষের ন্যূনতম সাত-আট ঘণ্টা ঘুমাতে হবে।
৬. স্কিনটাইট জিন্স
স্কিনটাইট জিন্স হয়তো পুরুষদের আকর্ষণীয় লাগে দেখতে কিন্তু জিনসও শুক্রাণুর সংখ্যার পরিমাণ হ্রাস করতে পারে। বেশি চাপা জিন্স বা প্যান্ট শরীরের সাথে লেগে থাকে, ফলে যে তাপ সৃষ্টি হয় তা শুক্রাণুর জন্য ভালো না।
স্কিনটাইট জিন্স হয়তো পুরুষদের আকর্ষণীয় লাগে দেখতে কিন্তু জিনসও শুক্রাণুর সংখ্যার পরিমাণ হ্রাস করতে পারে। বেশি চাপা জিন্স বা প্যান্ট শরীরের সাথে লেগে থাকে, ফলে যে তাপ সৃষ্টি হয় তা শুক্রাণুর জন্য ভালো না।
দেখুন কী সহজেই শুক্রাণুর ক্ষতি হয়ে যেতে পারে। শুধু এই অভ্যাস নয়, শুক্রাণুকে মেরে ফেলতে পারে এমন অন্যান্য খারাপ অভ্যাস যেমন ধূমপান, মানসিক চাপ, মদ্যপান, যৌন খেলনা ব্যবহার, এমনকি বেশি সানস্ক্রীন ব্যবহার। আর তাই সুন্দর স্বাস্থ্যকর জীবন পদ্ধতি বেছে নেয়াটা ভাল নয় কি?
৭. সিন্থেটিক টাইট আনডারওয়্যার
ব্যবহার।
সিন্থেটিক আন্ডারওয়্যার পুরুষের
টেস্টিসকে ওপরের দিকে টেনে তুলে রাখে আর এতে টেস্টিসে সব সময়ই তৈরী হতে থাকা
শুক্রানুগুলো মরতে থাকে। কারণ, টেস্টিস থাকবে ঝুলন্ত অবস্থায়। টেস্টিসের তাপমাত্রা
আর শরীরের তাপমাত্রা কিন্তু সমান নয়। শরীরের তাপমাত্রার চেয়ে টেস্টিসের তাপমাত্রা
কম। শরীরের তাপমাত্রার সমান হলেই টেস্টিসে তৈরী হওয়া শুক্রানুগুলো মরতে থাকবে। সবচেয়ে
ভাল কোন আন্ডাওয়্যার না পরা। আল্লাহর সৃষ্টির চমতকারিত্ব এখানেই যে তিনি এমন একটা অসামান্য
“স্পার্ম ব্যাংক” আমাদের শরীরে স্থাপন করেছেন। আর আমরা এর সঠিক ব্যবহারটিও জানছি
না। আমরা বোকাই রয়ে গেলাম।
Scrotal temperature is about 2 degrees Fahrenheit lower than in the rest of the body. This temperature in required for the process of sperm development, or
spermatogenesis, to proceed normally. The testicular blood supply
is also specialized to help maintain a lower scrotal temperature. (www.google.com)
নিয়মিত ফাস্টফুডে যে বিশেষ সমস্যা হতে পারে নারীদের
যে নারীরা নিয়মিত ফাস্টফুড খান কিন্তু ফলমূল কম খান, তারা গর্ভধারণ করতে গিয়ে সমস্যায় পড়তে পারেন বলে নতুন একটি গবেষণায় বলা হয়েছে।
৫৫৯৮ জন নারীর ওপর একটি গবেষণার পর দেখা গেছে, যারা ফাস্টফুড খান না, তাদের তুলনায় যারা সপ্তাহে চার বা আরো বেশিবার ফাস্টফুড খান, তাদের গর্ভধারণে অন্তত একমাস সময় বেশি লাগে।
তাদের সন্তান ধারণ করতেও বেশি সময় লাগে বলে ওই গবেষণায় বেরিয়ে এসেছে।
বিশেষজ্ঞরা
বলছেন, এটা প্রমাণ করছে যে, ভালো খাবার খেলে গর্ভধারণের সম্ভাবনাও বেড়ে যায়।
অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড, যুক্তরাজ্য আর আয়ারল্যান্ডের নারীদের কাছে জিজ্ঞাসা করা হয়েছিল, প্রথম সন্তান ধারণের কয়েক মাস আগে তারা কোন ধরণের খাবার খেয়েছিলেন।
গবেষকরা দেখতে পেয়েছেন, যে নারীরা মাসে তিনটার কম ফল খেয়েছেন, তাদের গর্ভধারণে নিয়মিত ফলাহারীদের তুলনায় দেড় মাস সময় বেশি লাগে।
তারা দেখেছেন, যারা ফল কম খায় বা ফাস্টফুড বেশি খাচ্ছেন, তাদের অনেকে পুরো বছর জুড়ে চেষ্টা করেও গর্ভধারণ করতে পারেননি।
তবে কোন যুগলের পুরুষ সঙ্গী যদি ফাটিলিটি চিকিৎসা নিয়ে থাকেন, তাদের এই গবেষণায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি।
গবেষণা দলের প্রধান, ইউনিভার্সিটি অব এডিলেডের অধ্যাপক ক্লারি রবার্টস বলছেন, ‘এই পর্যবেক্ষণ বলছে যে, ভালো মানের খাবার খাওয়া আর ফাস্টফুড এড়িয়ে চলতে পারলে গর্ভধারণের সম্ভাবনা অনেক বেড়ে যায় এবং দ্রুত গর্ভধারণ করা যায়।’ তবে অনেকে এর সমালোচনা করে বলছেন, এই গবেষণায় অল্প কিছু খাবারকে বিবেচনায় নেয়া হয়েছে। কিন্তু গর্ভধারণে হয়তো আরো অনেক বিষয়ের প্রভাব থাকতে পারে। এমনকি বাবাদের খাবারের বিষয়ে এখানে তথ্য সংগ্রহ করা হয়নি। তারপরেও এই গবেষণাটির অনেক গুরুত্ব রয়েছে বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা।
এই গবেষণার সঙ্গে জড়িত নন, ইউনিভার্সিটি অব কুইন্সল্যান্ডের অধ্যাপক জিনো পেকোরারো বলছেন, ‘সারা বিশ্বের স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা যা মনে করেন, এই গবেষণা সেটিকেই সমর্থন করেছে যে, যে যুগলরা সন্তান নিতে চান, স্বাস্থ্যসম্মত খাবার তাদের জন্য সহায়ক হতে পারে।’
সূত্র: বিবিসি/এনডিটিভি
No comments:
Post a Comment