সাধারণভাবে বলতে গেলে সচ্চরিত্রের চেয়ে কোন ভাল গুণ নেই। সর্বোত্তম লোকেরাই সর্বোত্তম
চরিত্রের অধিকারী। আর খাবার লোকেরা মন্দ চরিত্রের অধিকারী। সচ্চরিত্রের কয়েকটি দিক
এখানে তুলে ধরা হলো যা সকলের কাঙ্ক্ষিত। একজন মুসলমানের জিন্দেগি হবে এরকম-
১. বিনয়ী হতে হবে এবং কোনরূপ গর্ব করলে চলবে না।
২. কোন আস্থার আসনে বসানো হলে, সেই আস্থা অক্ষুন্ন রাখা দরকার।
৩. সর্বদা সত্য কথা বলবে এবং নির্দেশ মত কাজ করতে হবে।
৪. মুসলিম-অমুসলিম নির্বিশেষে সকলের প্রতি স্নেহদৃষ্টি, দয়া ও শ্রদ্ধা প্রদর্শন করতে
হবে।
৫. যার সহায়তা প্রয়োজন তাকে সাহায্য করা এবং সাহায্য না চাইলেও সুঃস্থকে সহায়তা দেয়া
প্রয়োজন।
৬. ক্ষমতা ও কর্তৃত্বের আসনে থেকে ক্ষমা করা উচিত।
৭. অপরের সত চিন্তাকে মূল্য দেয়া উচিত।
৮. অন্যের প্রতি বন্ধুসুলভ হওয়া এবং তাদের সাথে বন্ধুর মত ব্যবহার করা কর্তব্য।
৯. অপরের পরামর্শ চাইলে আন্তরিকভাবে পরামর্শ দেয়া প্রয়োজন।
১০. যে যার সাথে সংশ্লিষ্ট নয়, তার সথে সে ব্যাপারে কথা বলবে না। জরুরি বা প্রয়োজন
না হলে অন্যের কাছ থেকে কোন কিছু কখনও চাইবে না।
১২. ওয়াদা অক্ষুন্ন রাখা।
১৩. কর্তার রাগ প্রশমিত করা এবং নেতিবাচক প্রতিক্রিয়া থেকে বিরত হওয়া।
১৪. যারা ইসলামের চর্চা করে, তাদের প্রতি তার সম্পর্কের বিশেষ গুরুত্ব দেয়া।
১৫. সর্বদা ধৈর্যশীল হওয়া।
১৬. আগে যার সাথে ঝগড়া হয়েছে, তাকে সম্ভাষণ জানিয়ে আন্তরিকতা প্রদর্শন করা।
১৭. দায়িত্বদানকারী অথবা নিয়োগকারীর পরিবার ও আত্মীয়ের কল্যাণ নিশ্চিত করা।
১৮. মিতচারী হওয়া।
১৯. আল্লাহ যা দিয়েছেন, তা নিয়েই সন্তুষ্ট ও পরিতৃপ্ত হওয়া।
২০. তুচ্ছ বিষয় ছেড়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে মনোনিবেশ করা।
২১. দুষ্ট লোকদের মোকাবেলায় দূরদর্শীতার পরিচয় দিতে হবে।
২২. অন্যের সাথে উপহার বিনিময় করা।
২৩. যে ভাল কাজ করতে চায় তাকে ভাল কাজের দিকে পরিচালিত করা।
২৪. বিবাদমান পক্ষের মধ্যে মধ্যস্থতা করা।
২৫. কাজ সম্পদানের আগে সে সম্পর্কে চিন্তা ভাবনা করে নেয়া।
২৬. অন্যের প্রতি সদয় হওয়া।
২৭. অন্যান্যরা তাকে যা গোপন করতে বলে সেটা এবং অন্যদের ব্যাপারে সে যা জানতে পেরেছে
তা গোপন করা।
২৮. কোন মুসলমান মনক্ষুন্ন হয়েছে, এমন কাজ করলে সেজন্য ক্ষমা প্রার্থনা করা।
২৯. যে দুর্ব্যবহার করেছে তাকে ক্ষমা করে দেওয়া, যেন সে ঘনিষ্ঠ বন্ধু হয়ে পড়ে।
৩০. প্রফুল্লচিত্তে আরেকজনের সাথে সাক্ষাত করা।
৩১. ভাল লোক হলে তাদের সাথে মেলামেশা করা। অন্যথায় নির্জনতা অবলম্বন করাই শ্রেয়।
৩২. কারো অনুপস্থিতিতে সমালোচনা করা হলে তার পক্ষে কথা বলা।
৩৩. যে পথ হারিয়েছে তাকে পথ দেখানো বিশেষতঃ ক্ষীণ দৃষ্টিসম্পন্ন লোকদেরকে পথ দেখানো।
৩৪. সহজ হতে হবে; তবে বুদ্ধি বিবেচনাহীন হওয়া চলবে না।
৩৫. দানশীল হতে হবে, তবে অমিতব্যয়ী হওয়া যাবে না।
৩৬. দুর্বলের প্রতি সদয় এবং পিতামাতার প্রতি শ্রদ্ধাশীল হতে হবে।
৩৭. কারো সম্পর্কে তথ্যাদি জানার জন্য সে গালিগালাজ বা গালমন্দ করলে প্রতিশোধ না নেয়া
অথবা তার সম্পর্কে কিছু জানার জন্য গালিগালাজ না করা।
সূত্রঃ ড. মারওয়ান ইব্রাহিম আল কায়সি
No comments:
Post a Comment