হযরত আবু মালিক আল-আশ’আরী (রা) হইতে
বর্ণিত হইয়াছে, তিনি বলিয়াছেন, রাসূলে কারীম (স) ইরশাদ করিয়াছেনঃ পবিত্রতা ও
পরিচ্ছন্নতা ঈমানের অঙ্গ। আর ‘আলহামদুলিল্লাহ’ আমলের পাল্লা পূর্ণ মাত্রায় ভরিয়া
দেয়, ‘সুবহান আল্লাহ’ ও আলহামদুলিল্লাহ’ পূর্ণ করিয়া দেয় আকাশমন্ডল ও পৃথিবীকে।
পরন্তু নামায জ্যোতি, সাদকা অনস্বীকার্য দলীল, ধৈর্য আলো এবং কুরআন হয় তোমার
পক্ষের প্রমাণ, না হয় তোমার বিরুদ্ধের দলীল। প্রত্যেক মানুষেরই সকাল হয়, পরে সে
নিজের সত্বারই বেচা-কেনা করে। অতঃপর সে হয় উহাকে (নিজেকে) মুক্তি দেওয়ার
ব্যবস্থা করে, নতুবা উহাকে (নিজেকে) সে ধ্বংস করিয়া দেয়।-মুসলিম
মুসলমানকে অপবিত্রতা থেকে দূরে থাকতে
এবং নিজেকে, নিজের কাপড়-চোপড় ও তার বাসস্থান অথবা পারিপর্শ্বিক পরিবেশ নাপাক ময়লা
থেকে অবশ্যই পরিচ্ছন্ন রাখবে। উদাহরণস্বরূপ বলা যায়, এসব অপবিত্র বিষয়ের মধ্যে
রয়েছে বমি উদ্রেককারী ওষধ, স্তন্যপায়ী প্রাণীর অগ্রগন্থির তরল পদার্থ, প্রস্রাব,
মাদক জীবজন্তুর দুধ। মাছ ও কীট পতঙ্গ এবং ভেড়া, ছাগল ও হাতীর পশম ছাড়া জীবন্ত কোন
প্রাণীর কেটে ফেলা অঙ্গ অপবিত্র। ইসলামি বিধান মোতাবেক জবেহ করা ছাড়া সকল জন্তু
হারাম। এসব হারাম জিনিসের কোন অংশ যদি কোন মুসলমানের শরীরে বা কাপড়ে পড়ে তাহলে তা ধুয়ে
ফেলা ফরজ।
গোসল করা
১. নানা
করণে মানবদেহের পরিচ্ছন্নতা অপরিহার্য। রোগ বালাইয়ের মোকাবেলায় শরীর রক্ষা করা
ছাড়াও সমাজের লোকদের সাথে মেলামেশা জন্য এটা প্রয়োজন।
২. সুতরাং বার বার গোসল করাই দুর্গন্ধ থেকে বাঁচবার উপায়।
২. সুতরাং বার বার গোসল করাই দুর্গন্ধ থেকে বাঁচবার উপায়।
কোথায় গোসল করবেন
১. পুরুষেরা
একটি পর্দা টানিয়ে অথবা জাঙ্গিয়া পরিধান করে পাবলিক গোসলখানায় গোসল করতে পারে।
২. গোসলখানা তৈরি হলে সেখানে পেশাব করা যথার্থ নয়; কার এর ফলে ঐ স্থান দূষিত হবে। স্থানটি পাকা মেঝে হলে এবং পায়ঃনিষ্কাশনের ব্যবস্থা থাকবেল পেশাব করা নিষিদ্ধ নয়।
২. গোসলখানা তৈরি হলে সেখানে পেশাব করা যথার্থ নয়; কার এর ফলে ঐ স্থান দূষিত হবে। স্থানটি পাকা মেঝে হলে এবং পায়ঃনিষ্কাশনের ব্যবস্থা থাকবেল পেশাব করা নিষিদ্ধ নয়।
গোসল কখন ফরজ হয়
সমগ্র শরীর
ধুয়ে ফেলা নিম্নোক্ত কারণে জরুরি হয়ে পড়েঃ
১. বীর্যপাতের পর, ঘুমের সময় অথবা স্বপ্নে বীর্যপাত হলেও, তা থেকে পবিত্র হওয়ার জন্য।
২. মহিলাদের ক্ষেত্রে যৌন সংক্রান্ত কোন স্বপ্ন দেখলে এবং সেই সাথে তরল পদার্থের চিহ্ন পেলে, মহিলাদের রক্তস্রাব শেষ হলে এবং প্রসূতি অবস্থার মেয়াদ শেষ হলে।
এছাড়া বিশেষ বিশেষ ক্ষেত্রেও গোসল করা জরুরি। এর মধ্যে ইসলাম দু’টি ঈদ, ইসলাম গ্রহণ এবং প্রতি শুক্রবার জুমাআর নামাজের আগে গোসল করা প্রয়োজন।
১. বীর্যপাতের পর, ঘুমের সময় অথবা স্বপ্নে বীর্যপাত হলেও, তা থেকে পবিত্র হওয়ার জন্য।
২. মহিলাদের ক্ষেত্রে যৌন সংক্রান্ত কোন স্বপ্ন দেখলে এবং সেই সাথে তরল পদার্থের চিহ্ন পেলে, মহিলাদের রক্তস্রাব শেষ হলে এবং প্রসূতি অবস্থার মেয়াদ শেষ হলে।
এছাড়া বিশেষ বিশেষ ক্ষেত্রেও গোসল করা জরুরি। এর মধ্যে ইসলাম দু’টি ঈদ, ইসলাম গ্রহণ এবং প্রতি শুক্রবার জুমাআর নামাজের আগে গোসল করা প্রয়োজন।
গোসলের নিয়ম
প্রত্যেক
মুসলমানকে নিম্নোক্ত বিধি মানতে হবেঃ
১. গোসলের আগে তাকে নিশ্চিত হতে হবে যে, সে অন্যদের থেকে নিজেকে আড়াল করেছে।
২. পরিষ্কার স্থানে কাপড় চোপড় ও তোয়ালে রাখতে হবে।
৩. প্রথম পর্যায়ে গোসলের আগে অপবিত্রতা, ময়লা ধুয়ে ফেলতে হবে।
৪. তিনবার হাত ধুতে হবে।
৫. কুলি করতে হবে এবং পরিষ্কার করতে হবে।
৬. মুখমণ্ডল ও হাত ধুতে হবে।
৭. ডানদিক থেকে শরীরের ওপর পানি ঢালতে হবে।
৮. শরীর ও চুলের সকল অংশে পানি পৌছানো নিশ্চিত করতে হবে এবং হাত ও পায়ের আঙ্গুলগুলোর মধ্যে পানি প্রবেশ করাতে হবে।
৯. সাবান ব্যবহারকালে পরিষ্কার পানি দিয়ে শরীর ধুয়ে ফেলতে হবে, যাতে সাবানের কোন চিহ্ন শরীরে না থাকে। ফরজ গোসলের সময় এটা জরুরি।
১০. বাথ’টাবে গোসল করা যেতে পারে; তবে শর্ত হলো শাওয়ারের সাহায্যে দেহের সব অপবিত্রতা ধুয়ে মুফে ফেলতে হবে।
১. গোসলের আগে তাকে নিশ্চিত হতে হবে যে, সে অন্যদের থেকে নিজেকে আড়াল করেছে।
২. পরিষ্কার স্থানে কাপড় চোপড় ও তোয়ালে রাখতে হবে।
৩. প্রথম পর্যায়ে গোসলের আগে অপবিত্রতা, ময়লা ধুয়ে ফেলতে হবে।
৪. তিনবার হাত ধুতে হবে।
৫. কুলি করতে হবে এবং পরিষ্কার করতে হবে।
৬. মুখমণ্ডল ও হাত ধুতে হবে।
৭. ডানদিক থেকে শরীরের ওপর পানি ঢালতে হবে।
৮. শরীর ও চুলের সকল অংশে পানি পৌছানো নিশ্চিত করতে হবে এবং হাত ও পায়ের আঙ্গুলগুলোর মধ্যে পানি প্রবেশ করাতে হবে।
৯. সাবান ব্যবহারকালে পরিষ্কার পানি দিয়ে শরীর ধুয়ে ফেলতে হবে, যাতে সাবানের কোন চিহ্ন শরীরে না থাকে। ফরজ গোসলের সময় এটা জরুরি।
১০. বাথ’টাবে গোসল করা যেতে পারে; তবে শর্ত হলো শাওয়ারের সাহায্যে দেহের সব অপবিত্রতা ধুয়ে মুফে ফেলতে হবে।
শরীরের কোন কোন অংশের পরিষ্কার
পরিচ্ছন্ন রাখার ওপর গুরুত্ব আরোপ-
শরীরের যেসব
স্থানে প্রধানতঃ ময়লা জমে, সেসব স্থান পরিষ্কার করা জরুরি। যেমন:
১. প্রয়োজন বোধে চুল ছেঁটে ফেলা।
২. বগল ও নিম্নাঙ্গের চুল সপ্তাহান্তে (অনুর্ধ্ব ৪০ দিনে) শেভ করা বা তুলে ফেলা।
৩. নখ কাটা। নখ কাচা জরুরি হয়ে পড়লে মুসলমানদেরকে প্রথমে ডান হাত, তারপর বাম হাত এবং এরপর ডান পা এবং তারপর বাম পায়ের নখ কাটতে হবে।
শরীরের অন্যান্য অংশ বিশেষ করে মুখমণ্ডল, মাথা, হাত ও পা পরিচ্ছন্ন রাখা বিশেষ জরুরি। এরূপ করলে শরীর ও মন বিশেষভাবে সতেজ থাকবে; তদুপরি শরীরের এসব অংশ অন্যান্য অংশ অন্যান্য মানুষের সঙ্গে যোগাযোগের ক্ষেত্রে বেশি কাজে লাগে। অন্যদের সাথে যোগাযোগের ক্ষেত্রে মুখ ব্যবহার করা হয় বলে মুখ পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখার ব্যাপারে সবিশেষ গুরুত্বপ দিতে হবে। দেখা গেছে পেছন দিকের (পাছা) চাইতে মুখ গহবরে অনেক বেশি সূক্ষ্ম জীবাণূ থাকে। এজন্য দাঁতের ডাক্তাররা মুখ পরিষ্কার রাখার ব্যাপারে গুরুত্ব আরোপ করে থাকেন। বিশেষ করে আহার গ্রহণের পর দাঁতে কোন কিছু লেগে না থাকে, সেজন্য দাঁত ব্রাশ করতে হবে।
১. প্রয়োজন বোধে চুল ছেঁটে ফেলা।
২. বগল ও নিম্নাঙ্গের চুল সপ্তাহান্তে (অনুর্ধ্ব ৪০ দিনে) শেভ করা বা তুলে ফেলা।
৩. নখ কাটা। নখ কাচা জরুরি হয়ে পড়লে মুসলমানদেরকে প্রথমে ডান হাত, তারপর বাম হাত এবং এরপর ডান পা এবং তারপর বাম পায়ের নখ কাটতে হবে।
শরীরের অন্যান্য অংশ বিশেষ করে মুখমণ্ডল, মাথা, হাত ও পা পরিচ্ছন্ন রাখা বিশেষ জরুরি। এরূপ করলে শরীর ও মন বিশেষভাবে সতেজ থাকবে; তদুপরি শরীরের এসব অংশ অন্যান্য অংশ অন্যান্য মানুষের সঙ্গে যোগাযোগের ক্ষেত্রে বেশি কাজে লাগে। অন্যদের সাথে যোগাযোগের ক্ষেত্রে মুখ ব্যবহার করা হয় বলে মুখ পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখার ব্যাপারে সবিশেষ গুরুত্বপ দিতে হবে। দেখা গেছে পেছন দিকের (পাছা) চাইতে মুখ গহবরে অনেক বেশি সূক্ষ্ম জীবাণূ থাকে। এজন্য দাঁতের ডাক্তাররা মুখ পরিষ্কার রাখার ব্যাপারে গুরুত্ব আরোপ করে থাকেন। বিশেষ করে আহার গ্রহণের পর দাঁতে কোন কিছু লেগে না থাকে, সেজন্য দাঁত ব্রাশ করতে হবে।
১. খাবার পর খিলাল বা টুথপিক ব্যবহার করা।
২. মুখের ডান দিক থেকে মিসওয়াক বা টুথব্রাশ ব্যবহার করা।
এই পদ্ধতির কোনটাই একে অপরের বিকল্প নয়, একে অপরের পরিপূরক; যত্রতত্র টুথব্রাশ নিয়ে যাওয়া অবান্তর ও কঠিন; তবে মিসওয়াক যেকোন স্থানে সহজেই নিয়ে যাওয়া যায়। তদুপরি কারো সাথে সাক্ষাতের আগে মুখের দুর্গন্ধ পরিশোধন অথবা কর্মস্থল থেকে ফিরে আসার পর মিসওয়াক সহজেই ব্যবহার করা যায়। মুখ পরিষ্কার রাখা এবং স্মিত হাসির জন্য এ দুটো পরিপূরক পন্থা রয়েছে।
সূত্রঃ ড. মারওয়ান ইব্রাহিম আল কায়সি
২. মুখের ডান দিক থেকে মিসওয়াক বা টুথব্রাশ ব্যবহার করা।
এই পদ্ধতির কোনটাই একে অপরের বিকল্প নয়, একে অপরের পরিপূরক; যত্রতত্র টুথব্রাশ নিয়ে যাওয়া অবান্তর ও কঠিন; তবে মিসওয়াক যেকোন স্থানে সহজেই নিয়ে যাওয়া যায়। তদুপরি কারো সাথে সাক্ষাতের আগে মুখের দুর্গন্ধ পরিশোধন অথবা কর্মস্থল থেকে ফিরে আসার পর মিসওয়াক সহজেই ব্যবহার করা যায়। মুখ পরিষ্কার রাখা এবং স্মিত হাসির জন্য এ দুটো পরিপূরক পন্থা রয়েছে।
সূত্রঃ ড. মারওয়ান ইব্রাহিম আল কায়সি
No comments:
Post a Comment