১. পাখীরা আকাশে ওড়ে
দেখিয়া হিংসায়-
পিপীলিকা বিধাতার কাছে পাখা চায়;
বিধাতা দিলেন পাখা
দেখ তার ফল-
আগুনে পুড়িয়া মরে
পিপীলিকা দল।
দেখিয়া হিংসায়-
পিপীলিকা বিধাতার কাছে পাখা চায়;
বিধাতা দিলেন পাখা
দেখ তার ফল-
আগুনে পুড়িয়া মরে
পিপীলিকা দল।
মানবের গীতি শুনি
হিংসায় মরিল-
মশক বিধির কাছে
সুকন্ঠ মাগিল;
সুকন্ঠ দিলেন বিধি
দেখ তার ফল-
নর করাঘাতে মরে
মশক সকল।
২. করিওনা বন্ধু আপনি রাগ-হিংসা,
জানি আমি, সুযোগ পাহিলে ইহাই আপনার পেশা।
মনে রাখিও, হিংসাও সবকিছু ধ্বংস করিতে পারে,
সময় থাকিতে বন্ধু আপনি আপনা বুঝি নাওরে।
হিংসা পতন করা বন্ধু আপনা আছে,
হিংসা শেষ করিলে আপনা জীবন বাছে।
পরিবার হইতে নিকৃষ্ট শিক্ষা ইহা, বন্ধু করো বহিষ্কার,
কহিলাম বন্ধু আমি আপনায় সোজা পরিষ্কার।
বন্ধু হিংসা করিয়া পাহিনি কেহ বড় হইতে,
হিংসায় একদিন আঘাত করিবে আপনায়,পাহিবেন কি তা সহ্যিতে?
হিংসা নিয়ে ইতিহাস হইতে কহিবার প্রয়োজন আছে,
আশা করিয়া বন্ধু আপনি বুঝিবে কিছু তাতে।
"আজাজিল নামে একদা ব্যক্তি আল্লাহর ছিলেন ভক্ত,
প্রতিটা সময় প্রতিটা দিন তাহা আল্লাহকে সিজদা করিত।
এমতেই চলিলো তাহা বহু কোটি বছর ইবাদত-সিজদা,
ওই সময় ছিলো তাহা আল্লাহর প্রিয় কাঠি বান্দা।
একদিন আল্লাহ, মাটি দিয়া সৃষ্টি করিলেন মানব,
সুন্দর করিয়া তাহার নাম রাখিলেন আদম।
আল্লাহ বলিলেন,সর্ব তাহাকে সিজদা করো,আজাজিল ব্যাতিত সর্ব করিল,
আল্লাহ জানেন ইহা,তাহাকে সিজদা করিতে বলিলেন,
আজাজিল তাহার সম্মতিতে আল্লাহকে "না" জানালেন।
বলিল উহা, আপনি আমায় সৃষ্টি করিলেন অগ্নি দিয়া তৈরী,
আমি অগ্নি হয়ে কি করিয়া মাটিকে সিজদা করি।
আল্লাহ বলিলেন, দূর হও শয়তান(আজাজিল),
আজি হিংসা জন্য পাহিলে চিরতরে নরকে অবস্থান।"
বন্ধু আপনি হিংসা ছাড়িয়া হও হুশিয়ার,
ইতিহাস হইতে আছে মোদের ইহা শিক্ষা নেওয়ার।
৩. গোলামের তেজ
ঘুড়ি ডেকে কয়, ওরে প্রজাপতি, যোজন খানেক তলে,
রোস তুই, তবু দেখে ভোরে দিব্য দৃষ্টি বলে।
আচ্ছা বলতো গ্রহ মন্ডলে চলাফেরা দেখে মোর,
অবাক হয়ে কি রোসনাকো চেয়ে হিংসা হয় না তোর?”
প্রজাপতি কয়, মর, কি বুদ্ধি কাগুজে চিড়িয়া ঘুড়ি,
আমি কেন তোরে হিংসা করিব, মধু খেয়ে খেয়ে উড়ি।
তুই তো বন্দি করনা বড়াই যতই ওপর থেকে
স্বাধীন কখনো হিংসা করে কি গোলামের তেজ দেখে?
হিংসায় মরিল-
মশক বিধির কাছে
সুকন্ঠ মাগিল;
সুকন্ঠ দিলেন বিধি
দেখ তার ফল-
নর করাঘাতে মরে
মশক সকল।
২. করিওনা বন্ধু আপনি রাগ-হিংসা,
জানি আমি, সুযোগ পাহিলে ইহাই আপনার পেশা।
মনে রাখিও, হিংসাও সবকিছু ধ্বংস করিতে পারে,
সময় থাকিতে বন্ধু আপনি আপনা বুঝি নাওরে।
হিংসা পতন করা বন্ধু আপনা আছে,
হিংসা শেষ করিলে আপনা জীবন বাছে।
পরিবার হইতে নিকৃষ্ট শিক্ষা ইহা, বন্ধু করো বহিষ্কার,
কহিলাম বন্ধু আমি আপনায় সোজা পরিষ্কার।
বন্ধু হিংসা করিয়া পাহিনি কেহ বড় হইতে,
হিংসায় একদিন আঘাত করিবে আপনায়,পাহিবেন কি তা সহ্যিতে?
হিংসা নিয়ে ইতিহাস হইতে কহিবার প্রয়োজন আছে,
আশা করিয়া বন্ধু আপনি বুঝিবে কিছু তাতে।
"আজাজিল নামে একদা ব্যক্তি আল্লাহর ছিলেন ভক্ত,
প্রতিটা সময় প্রতিটা দিন তাহা আল্লাহকে সিজদা করিত।
এমতেই চলিলো তাহা বহু কোটি বছর ইবাদত-সিজদা,
ওই সময় ছিলো তাহা আল্লাহর প্রিয় কাঠি বান্দা।
একদিন আল্লাহ, মাটি দিয়া সৃষ্টি করিলেন মানব,
সুন্দর করিয়া তাহার নাম রাখিলেন আদম।
আল্লাহ বলিলেন,সর্ব তাহাকে সিজদা করো,আজাজিল ব্যাতিত সর্ব করিল,
আল্লাহ জানেন ইহা,তাহাকে সিজদা করিতে বলিলেন,
আজাজিল তাহার সম্মতিতে আল্লাহকে "না" জানালেন।
বলিল উহা, আপনি আমায় সৃষ্টি করিলেন অগ্নি দিয়া তৈরী,
আমি অগ্নি হয়ে কি করিয়া মাটিকে সিজদা করি।
আল্লাহ বলিলেন, দূর হও শয়তান(আজাজিল),
আজি হিংসা জন্য পাহিলে চিরতরে নরকে অবস্থান।"
বন্ধু আপনি হিংসা ছাড়িয়া হও হুশিয়ার,
ইতিহাস হইতে আছে মোদের ইহা শিক্ষা নেওয়ার।
৩. গোলামের তেজ
ঘুড়ি ডেকে কয়, ওরে প্রজাপতি, যোজন খানেক তলে,
রোস তুই, তবু দেখে ভোরে দিব্য দৃষ্টি বলে।
আচ্ছা বলতো গ্রহ মন্ডলে চলাফেরা দেখে মোর,
অবাক হয়ে কি রোসনাকো চেয়ে হিংসা হয় না তোর?”
প্রজাপতি কয়, মর, কি বুদ্ধি কাগুজে চিড়িয়া ঘুড়ি,
আমি কেন তোরে হিংসা করিব, মধু খেয়ে খেয়ে উড়ি।
তুই তো বন্দি করনা বড়াই যতই ওপর থেকে
স্বাধীন কখনো হিংসা করে কি গোলামের তেজ দেখে?
হিংসার পরিণাম ভাল নয়!
আরবি ‘হাসাদ’ শব্দের অর্থ হিংসা, ঈর্ষা, পরশ্রীকাতরতা ইত্যাদি। পরিভাষায়, অন্যের ভালো কিছু দেখে তা নষ্ট হওয়ার কামনা করাকে হাসাদ বলে। ‘হাসাদ’ তথা হিংসা আত্মবিধ্বংসী বদ গুণ। হিংসুকের হিংসা থেকে আশ্রয় প্রার্থনার কথা স্বয়ং আল্লাহ বলেছেন। ‘হিংসুকের হিংসা থেকে আশ্রয় প্রার্থনা করো, যখন সে হিংসা করে।’(সূরা ফালাক : ৬)।
অন্য আয়াতে আল্লাহ বলেন, ‘তারা কি মানুষের প্রতি এজন্যই হিংসা করে যে, আল্লাহ তাদের স্বীয় অনুগ্রহ দান করেছেন।’ (সূরা নিসা : ৫৪)।
আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘মোমিন বান্দার পেটে আল্লাহর রাস্তার ধুলা এবং জাহান্নামের আগুন একত্রে জমা হতে পারে না। একইভাবে হিংসা এবং ঈমানও কোনো বান্দার মাঝে একত্রে থাকতে পারে না।’ (নাসাঈ) ।
তিনি (সা.) আরও বলেন, ‘তোমরা হিংসা থেকে বেঁচে থাক। কারণ হিংসা দ্বীন ধ্বংস করে দেয়।’ (তিরমিজি) ।
হিংসুক আল্লাহর নেয়ামতের শত্রু। রাসুল (সা.) বলেন, ‘আল্লাহর নেয়ামতের কিছু শত্রু আছে। সাহাবিরা জিজ্ঞেস করেন, আল্লাহর নেয়ামতের শত্রু কারা? রাসুল (সা.) বলেন, হিংসুকরা। হিংসুক তো এজন্যই হিংসা করে আল্লাহ কেন তাঁর বান্দাকে অনুগ্রহ করেছেন।’ (দাওয়াউল হাসাদ) ।
আরবি ‘হাসাদ’ শব্দের অর্থ হিংসা, ঈর্ষা, পরশ্রীকাতরতা ইত্যাদি। পরিভাষায়, অন্যের ভালো কিছু দেখে তা নষ্ট হওয়ার কামনা করাকে হাসাদ বলে। ‘হাসাদ’ তথা হিংসা আত্মবিধ্বংসী বদ গুণ। হিংসুকের হিংসা থেকে আশ্রয় প্রার্থনার কথা স্বয়ং আল্লাহ বলেছেন। ‘হিংসুকের হিংসা থেকে আশ্রয় প্রার্থনা করো, যখন সে হিংসা করে।’(সূরা ফালাক : ৬)।
অন্য আয়াতে আল্লাহ বলেন, ‘তারা কি মানুষের প্রতি এজন্যই হিংসা করে যে, আল্লাহ তাদের স্বীয় অনুগ্রহ দান করেছেন।’ (সূরা নিসা : ৫৪)।
আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘মোমিন বান্দার পেটে আল্লাহর রাস্তার ধুলা এবং জাহান্নামের আগুন একত্রে জমা হতে পারে না। একইভাবে হিংসা এবং ঈমানও কোনো বান্দার মাঝে একত্রে থাকতে পারে না।’ (নাসাঈ) ।
তিনি (সা.) আরও বলেন, ‘তোমরা হিংসা থেকে বেঁচে থাক। কারণ হিংসা দ্বীন ধ্বংস করে দেয়।’ (তিরমিজি) ।
হিংসুক আল্লাহর নেয়ামতের শত্রু। রাসুল (সা.) বলেন, ‘আল্লাহর নেয়ামতের কিছু শত্রু আছে। সাহাবিরা জিজ্ঞেস করেন, আল্লাহর নেয়ামতের শত্রু কারা? রাসুল (সা.) বলেন, হিংসুকরা। হিংসুক তো এজন্যই হিংসা করে আল্লাহ কেন তাঁর বান্দাকে অনুগ্রহ করেছেন।’ (দাওয়াউল হাসাদ) ।
হিংসার পরিণাম খুবই ভয়াবহ। রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘তোমরা হিংসা থেকে বেঁচে থাক। কেননা হিংসা নেক আমলকে এমনভাবে খেয়ে ফেলে, যেভাবে আগুন কাঠকে খেয়ে ফেলে।’ (সুনান আবু দাউদ)। তিনি (সা.) আরও বলেছেন, ‘তিনটি বদ অভ্যাস আছে, যা থেকে কেউ মুক্ত নয়।
১. কুধারণা,
২. হিংসা এবং
৩. অশুভ ফলে বিশ্বাস।
১. কুধারণা,
২. হিংসা এবং
৩. অশুভ ফলে বিশ্বাস।
সাহাবিরা জিজ্ঞেস করলেন, হে আল্লাহর রাসুল! এসব থেকে মুক্ত থাকার উপায় কী? রাসুল (সা.) বলেন, কারও প্রতি কুধারণা এলে তা বিশ্বাস না করা, হিংসার উদ্রেক হলে প্রকাশ না করা আর অশুভ ফলের কারণে শুরু করা কাজ থেকে ফিরে না আসা।’ (মাজমাউজ জাওয়াইদ)।
হিংসার পরিণাম সম্পর্কে ইমাম জাফর সাদেক (রহ.) বলেন, ‘হিংসা হলো কুফরের ভিত্তিস্বরূপ।’ (আল কাফি)। ইমাম বাকের (রহ.) বলেন, ‘হিংসা ঈমানকে জ্বালিয়ে নিঃশেষ করে দেয়।’ (আল কাফি)।
হযরত লুকমান তাঁর ছেলেকে উপদেশ দিয়ে বলেন, ‘বতস শোন! হিংসুকের তিনটি চিহ্ন আছেঃ
১. সে হিংসা করে এবং পেছনে গিবত করে,
২. সামনে তোষামোদ করে এবং
৩. মানুষের বিপদে আনন্দিত হয়।’।
আদম (আ.) এর প্রতি হিংসার বশবর্তী হয়েই ইবলিস আল্লাহর অবাধ্য হয়েছিল। তাই কেউ যদি হিংসাপ্রবণ মানুষে পরিণত হয় বা কারও প্রতি হিংসা করে তবে সে ও আল্লাহর নেয়ামত থেকে চিরবঞ্চিত হবে। তাই হিংসা থেকে বেঁচে থাকা আমাদের সবার একান্ত জরুরী কর্তব্য।
২. সামনে তোষামোদ করে এবং
৩. মানুষের বিপদে আনন্দিত হয়।’।
আদম (আ.) এর প্রতি হিংসার বশবর্তী হয়েই ইবলিস আল্লাহর অবাধ্য হয়েছিল। তাই কেউ যদি হিংসাপ্রবণ মানুষে পরিণত হয় বা কারও প্রতি হিংসা করে তবে সে ও আল্লাহর নেয়ামত থেকে চিরবঞ্চিত হবে। তাই হিংসা থেকে বেঁচে থাকা আমাদের সবার একান্ত জরুরী কর্তব্য।
No comments:
Post a Comment