কাক, টিয়া আর ময়ূরের গল্প
এক কাক বাস করতো বনে । সে তাকে দুনিয়ার সবচেয়ে সূখী পাখী মনে করে। কিন্তু একদিন রাজহাঁস দেখে তার মনে হলো, ইস্! কী সুন্দার পাখী। কী সুন্দর ধবধবে সাদা রং আমার আমার কেমন কালো রঙ। রাজহাঁসটি কী সুন্দর দেখতে! কাকটি আস্তে আস্তে রাজহাঁসের কাছে গেল। বললো, ভাই তোমার কী সুন্দর রং। আর আমি মনে করি তুমিই জগতের সবচেয়ে ভাগ্যবান পাখী। রাজহাঁস জবাব দিল, হ্যাঁ ভাই কাক। আমিও নিজেকে জগতের সবচেয়ে সুন্দর পাখী মনে করতাম। কিন্তু একবার একটি টিয়া দেখার পর আমার সে ধারনা পাল্টে গেছে। দেখলাম টিয়া পাখীর সুন্দর লাল বাঁকানো ঠোঁট, পা দুটো সুন্দর আর গায়ে লাল সবুজে মেশানো রং। যা সুন্দর টিয়াটি। কি আর বলবো!
এর পর কাক টিয়ার কাছে গেল। বললো, ভাই তোমার কী সুন্দর রং। আর আমি মনে করি তুমিই জগতের সবচেয়ে ভাগ্যবান পাখী। টিয়া জবাব দিল, হ্যাঁ ভাই কাক। আমিও নিজেকে জগতের সবচেয়ে সুন্দর পাখী মনে করতাম। কিন্তু একবার একটি ময়ূরকে দেখে আমার সে ধারনা পাল্টে গেছে।”কাক বলে, কেমন করে? ময়ূরকে দেখলাম ওর কী সুন্দর অনেক রঙ আমার মাত্র ২টি রং। আর ময়ুরের পেখম দেখ, কী সুন্দরই না যখন সেটি মেলে ধরে।”আর চিড়িয়াখানায় অনেক মানুষ তাকে দেখতে আসে প্রতিদিন। একদিন চিড়িয়াখানা থেকে লোক জন চলে গেলে কাক ময়ূরের কাছে গিয়ে বলে আচ্ছা ভাই ময়ুর, আমার ধরনামত তুমিই জগতের সবচেয়ে ভাগ্যবান পাখী। তোমার অনেক সুন্দর রং আছে পাখায় আর তোমার পেখমও বেশ চমৎকার।”“আমি ঠিক বলিনি, ভাই ময়ূর?
ময়ূর জবাব দেয়, হ্যাঁ ভাই কাক, আমারও সেই রকমই ধারনা ছিল। আমি সুন্দর সেটা ঠিক। কিন্তু তুমিতো দেখছো যে আমি চিড়িয়াখানায় বন্দি। গোটা চিড়িয়াখানা আমি ভাল করেই দেখেছি আর আরো দেখেছি কেবল কাকই একমাত্র পাখী যে কিনা খাঁচায় বন্দি হয়ে নেই -আছে বাইরে। আমি মনে করলাম আহা, যদি কাক হতে পারতাম তবে কত সূখেই না চারদিক আনন্দে ঘুরতে পারতাম।”
উপসংহারঃ
আমাদের মূল সমস্যা এটাই। আমার অন্যের সাথে অকারণে নিজেদের তূলনাকরি। আমরা চিন্তা করিনা যে আল্লাহ কত ভাল জিনিস আমাকে দিয়েছেন। এই তূলনাই আমাদেরকে এক জটিল আবর্তে ফেলে দেয়। আমরা অসূখী হয়ে পড়ি।
আমাদের উচিত হবে আল্লাহ আমাদেকে যা ই দিয়েছেন তা ই নিয়ে তুষ্ট থাকা। আমাদেরকে খুঁজে বের করতে হবে সূখী হওয়ার গোপণ সূত্র আর বাদ দিতে হবে অন্যের সাথে নিজেদের তূলনা করা। তাহলেই সূখী হতে পারা যাবে।
খালাক্কাল ইনছানা ফি আহসানে তাক্কবীম- আমি মানুষকে পয়দা করেছি সর্বোত্তম কাঠামোয় –সূরা ত্বীন আয়াত-৪;
আমি মানুষকে তৈরী করেছি মাটির উপাদান থেকে, -আল ম’মিনুন আয়াত ১২।
এক কাক বাস করতো বনে । সে তাকে দুনিয়ার সবচেয়ে সূখী পাখী মনে করে। কিন্তু একদিন রাজহাঁস দেখে তার মনে হলো, ইস্! কী সুন্দার পাখী। কী সুন্দর ধবধবে সাদা রং আমার আমার কেমন কালো রঙ। রাজহাঁসটি কী সুন্দর দেখতে! কাকটি আস্তে আস্তে রাজহাঁসের কাছে গেল। বললো, ভাই তোমার কী সুন্দর রং। আর আমি মনে করি তুমিই জগতের সবচেয়ে ভাগ্যবান পাখী। রাজহাঁস জবাব দিল, হ্যাঁ ভাই কাক। আমিও নিজেকে জগতের সবচেয়ে সুন্দর পাখী মনে করতাম। কিন্তু একবার একটি টিয়া দেখার পর আমার সে ধারনা পাল্টে গেছে। দেখলাম টিয়া পাখীর সুন্দর লাল বাঁকানো ঠোঁট, পা দুটো সুন্দর আর গায়ে লাল সবুজে মেশানো রং। যা সুন্দর টিয়াটি। কি আর বলবো!
এর পর কাক টিয়ার কাছে গেল। বললো, ভাই তোমার কী সুন্দর রং। আর আমি মনে করি তুমিই জগতের সবচেয়ে ভাগ্যবান পাখী। টিয়া জবাব দিল, হ্যাঁ ভাই কাক। আমিও নিজেকে জগতের সবচেয়ে সুন্দর পাখী মনে করতাম। কিন্তু একবার একটি ময়ূরকে দেখে আমার সে ধারনা পাল্টে গেছে।”কাক বলে, কেমন করে? ময়ূরকে দেখলাম ওর কী সুন্দর অনেক রঙ আমার মাত্র ২টি রং। আর ময়ুরের পেখম দেখ, কী সুন্দরই না যখন সেটি মেলে ধরে।”আর চিড়িয়াখানায় অনেক মানুষ তাকে দেখতে আসে প্রতিদিন। একদিন চিড়িয়াখানা থেকে লোক জন চলে গেলে কাক ময়ূরের কাছে গিয়ে বলে আচ্ছা ভাই ময়ুর, আমার ধরনামত তুমিই জগতের সবচেয়ে ভাগ্যবান পাখী। তোমার অনেক সুন্দর রং আছে পাখায় আর তোমার পেখমও বেশ চমৎকার।”“আমি ঠিক বলিনি, ভাই ময়ূর?
ময়ূর জবাব দেয়, হ্যাঁ ভাই কাক, আমারও সেই রকমই ধারনা ছিল। আমি সুন্দর সেটা ঠিক। কিন্তু তুমিতো দেখছো যে আমি চিড়িয়াখানায় বন্দি। গোটা চিড়িয়াখানা আমি ভাল করেই দেখেছি আর আরো দেখেছি কেবল কাকই একমাত্র পাখী যে কিনা খাঁচায় বন্দি হয়ে নেই -আছে বাইরে। আমি মনে করলাম আহা, যদি কাক হতে পারতাম তবে কত সূখেই না চারদিক আনন্দে ঘুরতে পারতাম।”
উপসংহারঃ
আমাদের মূল সমস্যা এটাই। আমার অন্যের সাথে অকারণে নিজেদের তূলনাকরি। আমরা চিন্তা করিনা যে আল্লাহ কত ভাল জিনিস আমাকে দিয়েছেন। এই তূলনাই আমাদেরকে এক জটিল আবর্তে ফেলে দেয়। আমরা অসূখী হয়ে পড়ি।
আমাদের উচিত হবে আল্লাহ আমাদেকে যা ই দিয়েছেন তা ই নিয়ে তুষ্ট থাকা। আমাদেরকে খুঁজে বের করতে হবে সূখী হওয়ার গোপণ সূত্র আর বাদ দিতে হবে অন্যের সাথে নিজেদের তূলনা করা। তাহলেই সূখী হতে পারা যাবে।
খালাক্কাল ইনছানা ফি আহসানে তাক্কবীম- আমি মানুষকে পয়দা করেছি সর্বোত্তম কাঠামোয় –সূরা ত্বীন আয়াত-৪;
আমি মানুষকে তৈরী করেছি মাটির উপাদান থেকে, -আল ম’মিনুন আয়াত ১২।
No comments:
Post a Comment