5 habits that can be as deadly as smoking
5. Poor diet খাদ্যপ্রাণবিহীন খবার
চিনিযুক্ত খাবার, প্রসেসড ফুড, স্যাচুরেটেড চর্বিযুক্ত(ঘরের স্বাভাবিক তাপমাত্রায় যে চর্বি জমে যায়)খাবার এগুলো ধুমপানের চেয়েও ভয়ংকর। এসব থেকে বিরত থাকতে হবে আমাদের।
Poor nutrition can contribute to stress, tiredness and our capacity to work, and over time, it can contribute to the risk of developing some illnesses and other health problems such as: being overweight or obese, tooth decay, high blood pressure.
5. Poor diet খাদ্যপ্রাণবিহীন খবার
চিনিযুক্ত খাবার, প্রসেসড ফুড, স্যাচুরেটেড চর্বিযুক্ত(ঘরের স্বাভাবিক তাপমাত্রায় যে চর্বি জমে যায়)খাবার এগুলো ধুমপানের চেয়েও ভয়ংকর। এসব থেকে বিরত থাকতে হবে আমাদের।
Poor nutrition can contribute to stress, tiredness and our capacity to work, and over time, it can contribute to the risk of developing some illnesses and other health problems such as: being overweight or obese, tooth decay, high blood pressure.
4. Tanning ত্বকে ট্যান করা
বিউটি পারলারে গিয়ে যারা ত্বকে ট্যান করে নেন তাদের এই ভয়ংকর কাজ থেকে বিরত থাকতে হবে। আপাতঃদৃষ্টিতে মনে হবে ত্বক তো সুন্দর হচ্ছে, আসলে তা নয়। ট্যান করে নিলে ত্বকে ভয়াবহ ক্যান্সারের বিস্তার ঘটার সম্ভাবনা অনেক বেশী।
3. Loss of sleep ঘুমের ঘাটতি
ঘুমের ঘাটতি স্ট্রোক ও হৃদপিন্ডের রোগ হওয়ার সম্ভাবনা অনেক বেশী থাকে। ঘুম না হওয়া ধুমপানের চেয়েও ক্ষতিকর।
দেহ ও মন সুস্থ-স্বাভাবিক রাখতে ঘুম অপরিহার্য একটি বিষয়। আমরা জানি, একজন ব্যক্তির ২৪ ঘণ্টায় অন্তত ৬-৮ ঘণ্টা ঘুমানো উচিত। বিশেষজ্ঞরাও তাই বলেন। আবার এটিও সত্য যে, একজন দিনে কতটুকু ঘুমাবেন, তা তার শারীরিক অবস্থা ও চাহিদার ওপর নির্ভর করে। কিন্তু ছন্দপতন তখনই হয়, যখন কেউ ঘুমহীনতায় ভোগেন। মাঝে মধ্যে রাতে ঘুমাতে না পারা স্বাভাবিক হিসেবে ধরা হলেও একটানা দীর্ঘদিন রাতে ঘুম না হওয়া শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্যের জন্য খারাপ। অনেকে রাতে সঠিক সময়ে ঘুমাতে গিয়েও ঘুমাতে পারেন না বা ঘুম হয় না। সেক্ষেত্রে ঘুমের ওষুধও কখনো কখনো কাজ করে না। একটানা ঘুম না হওয়া, অনিদ্রা বা স্বল্প নিদ্রাকে বলা হয় ইনসমোনিয়া। ইনসমোনিয়া দীর্ঘদিন থাকলে তা মানসিক অবসাদ ও দুশ্চিন্তার অন্যতম কারণ হয়ে দাঁড়ায়।
2. Sitting বসে থাকা
দীর্ঘক্ষণ বসে থাকার দেহের নানা সমস্যার কারণ হতে পারে। বিশেষজ্ঞরা এ নিয়ে বহু পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালিয়েছেন। জেনে নিন, একটানা বহু সময় বসে কাটালে দেহে কি ধরনের সমস্যা হতে পারে।
১. মেরুদণ্ডে প্রভাব: বসে থাকলে মেরুদণ্ড ইংরেজি 'সি (c)' এর আকার ধারণ করে। আর এ অবস্থায় অনেক সময় অতিবাহিত করলে মেরুদণ্ডের হাড়ে ব্যথাসহ পেশিতে জড়তা ধরে বসতে পারে। কাজেই চেয়ারে হেলান দেওয়া সুব্যবস্থা থাকতে হবে। তা ছাড়া পিঠে ছোট বালিশ ব্যবহার করে সোজা হয়ে বসার অভ্যাস করুন।
বিউটি পারলারে গিয়ে যারা ত্বকে ট্যান করে নেন তাদের এই ভয়ংকর কাজ থেকে বিরত থাকতে হবে। আপাতঃদৃষ্টিতে মনে হবে ত্বক তো সুন্দর হচ্ছে, আসলে তা নয়। ট্যান করে নিলে ত্বকে ভয়াবহ ক্যান্সারের বিস্তার ঘটার সম্ভাবনা অনেক বেশী।
3. Loss of sleep ঘুমের ঘাটতি
ঘুমের ঘাটতি স্ট্রোক ও হৃদপিন্ডের রোগ হওয়ার সম্ভাবনা অনেক বেশী থাকে। ঘুম না হওয়া ধুমপানের চেয়েও ক্ষতিকর।
দেহ ও মন সুস্থ-স্বাভাবিক রাখতে ঘুম অপরিহার্য একটি বিষয়। আমরা জানি, একজন ব্যক্তির ২৪ ঘণ্টায় অন্তত ৬-৮ ঘণ্টা ঘুমানো উচিত। বিশেষজ্ঞরাও তাই বলেন। আবার এটিও সত্য যে, একজন দিনে কতটুকু ঘুমাবেন, তা তার শারীরিক অবস্থা ও চাহিদার ওপর নির্ভর করে। কিন্তু ছন্দপতন তখনই হয়, যখন কেউ ঘুমহীনতায় ভোগেন। মাঝে মধ্যে রাতে ঘুমাতে না পারা স্বাভাবিক হিসেবে ধরা হলেও একটানা দীর্ঘদিন রাতে ঘুম না হওয়া শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্যের জন্য খারাপ। অনেকে রাতে সঠিক সময়ে ঘুমাতে গিয়েও ঘুমাতে পারেন না বা ঘুম হয় না। সেক্ষেত্রে ঘুমের ওষুধও কখনো কখনো কাজ করে না। একটানা ঘুম না হওয়া, অনিদ্রা বা স্বল্প নিদ্রাকে বলা হয় ইনসমোনিয়া। ইনসমোনিয়া দীর্ঘদিন থাকলে তা মানসিক অবসাদ ও দুশ্চিন্তার অন্যতম কারণ হয়ে দাঁড়ায়।
2. Sitting বসে থাকা
দীর্ঘক্ষণ বসে থাকার দেহের নানা সমস্যার কারণ হতে পারে। বিশেষজ্ঞরা এ নিয়ে বহু পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালিয়েছেন। জেনে নিন, একটানা বহু সময় বসে কাটালে দেহে কি ধরনের সমস্যা হতে পারে।
১. মেরুদণ্ডে প্রভাব: বসে থাকলে মেরুদণ্ড ইংরেজি 'সি (c)' এর আকার ধারণ করে। আর এ অবস্থায় অনেক সময় অতিবাহিত করলে মেরুদণ্ডের হাড়ে ব্যথাসহ পেশিতে জড়তা ধরে বসতে পারে। কাজেই চেয়ারে হেলান দেওয়া সুব্যবস্থা থাকতে হবে। তা ছাড়া পিঠে ছোট বালিশ ব্যবহার করে সোজা হয়ে বসার অভ্যাস করুন।
২. কোয়াড্রিসেপস এর ওপর চাপ: অনেক সময় ধরে টেলিভিশন যারা দেখেন, তাদের ব্যায়াম করার ইচ্ছে অন্যদের চেয়ে ৪০ শতাংশ কম থাকে। ঘণ্টার পর ঘণ্টা যারা বসে টেলিভিশন দেখেন, তাদের উরুসন্ধি এবং কোমরের হাড়ে যথেষ্ট চাপ পড়ে। কাজেই একইভাবে বসে দীর্ঘক্ষণ টিভি দেখবেন না। আসন বদল করে টিভি দেখুন।
৩. পেটে বাড়তি চর্বি: অনেকক্ষণ বসে থাকার মাধ্যমে পেটে চর্বি জমিয়ে ফেলতে পারেন। এতে করে দেহের ওজন কয়েক কিলো যোগ হবে। যারা প্রচুর সময় বসে কাটান তাদের দেহ স্থূলতার সম্ভাবনা ২৩ শতাংশ বেড়ে যায়। তাদের ডায়াবেটিস হওয়ার সম্ভাবনাও বাড়ে ১৪ শতাংশ হারে।
৪. মস্তিষ্কের সর্বনাশ: বসে বসে টিভি দেখার ফলে মস্তিষ্কে বিরূপ প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়। টেলিভিশনের আলো মস্তিষ্কের ঘুম তাড়িয়ে দেয়। ঘুমের র্যাপিড আই মুভমেন্ট স্তরকে ক্ষতিগ্রস্ত করে। এ অবস্থায় দেহে মেলাটনিন হরমোনের ক্ষরণ ঘটে যা মানুষকে জাগ্রত করে রাখে। কাজেই ঘুমের দুই-তিন ঘণ্টা আগে থেকে টেলিভিশন দেখা বন্ধ রাখা উচিত।
৫. ফুসফুসের কার্যক্ষমতা হ্রাস: বসে বসে দীর্ঘ সময় কাটিয়ে দিলে ফুসফুসের কার্যক্ষমতা এক-তৃতীয়াংশ কমে আসে। এতে দেহের অক্সিজেন গ্রহণের ক্ষমতা হ্রাস পায়।
৬. হৃদযন্ত্রে প্রভাব: অস্ট্রেলিয়ার ন্যাশনাল হেলথ রেকর্ডস তাদের এক গবেষণায় জানায়, ২৫ বছর বয়সের পর প্রতি এক ঘণ্টা টেলিভিশন দেখার কারণে আয়ু কমে আসে ২২ মিনিটের মতো। তাই টানা অনেকক্ষণ টেলিভিশন দেখা বাদ দিন।
শরীর ঠিক রাখতে শারীরিক সঞ্চালন খুবই জরুরি। প্রাকৃতিক নাড়াচাড়া যেমন হাঁটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ শরীরের জন্য। শারীরিক শ্রম দেহের ক্যালরি ও চর্বি খরচ করে শরীরকে সতেজ রাখতে সাহায্য করে। মনকে করে তোলে প্রফুল্ল। কিন্তু কম্পিউটার ল্যাপটপ বা ইন্টারনেট আমাদের শারীরিক যন্ত্রটাকে স্থবির করে তুলছে। দীর্ঘ সময় বসে থেকে আমরা postural dysfunction syndrome (PDS)-এ আক্রান্ত হচ্ছি। চল্লিশের আগেই ভুগছি ঘাড়-কোমরসহ শারীরিক ব্যথায়। ভুল দেহ ভঙ্গিমা শারীরিক শ্রম না করা বা স্বাস্থ্যসম্মত খ্যাদ্যাভ্যাস গড়ে তুলতে না পারাই শারীরিক ব্যথার মূল কারণ।
1. Loneliness একাকীত্ব
সামাজিক বিচ্ছিন্নতা ও একাকিত্ব ক্ষতির কারণ হয়ে উঠতে পারে। মানসিক ও সামাজিক ক্ষেত্রের বাইরে এর রয়েছে শারীরিক প্রভাবও। একাকিত্বের কারণে বিভিন্ন ধরনের হূদরোগের পাশাপাশি স্ট্রোকের ঝুঁকি উল্লেখযোগ্য মাত্রায় বাড়ে বলে সাম্প্রতিক এক গবেষণায় জানা গেছে।
হূদযন্ত্রের ওপর দুশ্চিন্তা ও মানসিক চাপসমৃদ্ধ কাজের রয়েছে নেতিবাচক প্রভাব। বিভিন্ন গবেষণা সূত্রে এ কথা আগে থেকেই জানা। আর সাম্প্রতিক গবেষণায় জানা গেল, হূদযন্ত্রের ওপর অনুরূপ প্রভাব রয়েছে একাকিত্বেরও। হূদরোগ ও স্ট্রোকের ঝুঁকির সঙ্গে একাকিত্বের সম্পর্ক নিরূপণে ইউনিভার্সিটি অব ইয়র্ক, ইউনিভার্সিটি অব লিভারপুল ও নিউক্যাসল ইউনিভার্সিটির গবেষকরা এ-সম্পর্কিত বিভিন্ন তথ্য পর্যালোচনা করেন। তারা এ-বিষয়ক ২৩টি গবেষণা প্রতিবেদন বিশ্লেষণ করেন। এসব গবেষণায় অন্তত ১ লাখ ৮১ হাজার পূর্ণ বয়স্ক ব্যক্তি অংশগ্রহণ করেছিলেন। এদের মধ্যে ৪ হাজার ৬২৮ জন হূদরোগ ও ৩ হাজার ২ জন স্ট্রোকে আক্রান্ত হন। এসব গবেষণাপত্র পর্যালোচনায় দেখা যায়, সামাজিক বিচ্ছিন্নতা ও একাকিত্বের কারণে হূদরোগের ঝুঁকি ২৯ শতাংশ বাড়ে। পাশাপাশি স্ট্রোকের ঝুঁকি বাড়ে ৩২ শতাংশ। সম্প্রতি এ গবেষণা প্রতিবেদন হার্ট নামক জার্নালে প্রকাশ হয়েছে।
গবেষকদের মতে, দুর্বল সামাজিক সম্পর্কের সঙ্গে হূদযন্ত্র-সম্পর্কিত বিভিন্ন রোগের সংযোগ খুঁজে পাওয়া গেছে। দুশ্চিন্তা কিংবা চাপসংকুল কর্মপরিবেশের মতোই নিঃসঙ্গতাও অন্যতম একটি মনোসামাজিক ঝুঁকির উত্স। এ কারণে হূদরোগ ও স্ট্রোকের ঝুঁকি মোকাবেলায় সামাজিক বিচ্ছিন্নতা ও নিঃসঙ্গতাকে অন্যসব কারণের মতোই গুরুত্বসহকারে বিবেচনা করতে হবে। এ ধরনের রোগ প্রতিরোধে সামাজিক বিচ্ছিন্নতা ও একাকিত্ব মোকাবেলায় কৌশল নির্ধারণ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এছাড়া এসব রোগে আক্রান্ত ব্যক্তিদের কাছে সামাজিক সম্পর্কের তাত্পর্য তুলে ধরতে চিকিত্সকদেরও এগিয়ে আসা উচিত বলে তারা মনে করেন।
এর আগে বিভিন্ন গবেষণায় অকাল মৃত্যুর সঙ্গে নিঃসঙ্গতার সম্পর্কের কথা উঠে এলেও এবারই প্রথম সরাসরি হূদরোগের সঙ্গে এর যোগসূত্রের বিষয়টি সামনে এসেছে। সামাজিক বিচ্ছিন্নতার কারণে অকাল মৃত্যুর বিষয়টিতে যে অস্পষ্টতার সংকট ছিল, তা এ গবেষণার মাধ্যমে কেটে গেছে।
গবেষণাটির পরিপ্রেক্ষিতে যুক্তরাষ্ট্রের ব্রিগহাম ইয়াং ইউনিভার্সিটির দুই চিকিত্সক ড. জুলিয়ান হল্ট-লানস্ট্যাড ও ড. টিমোথি স্মিথ একটি মন্তব্য প্রতিবেদন লেখেন। এতে রোগীদের কাছে সামাজিক সম্পর্কের বিষয়টি তুলে ধরতে চিকিত্সকদের প্রতি আহ্বান জানান তারা। পাশাপাশি সামাজিক সম্পর্ক রক্ষা করাকে
‘স্বাস্থ্যকর জীবনযাপন’প্রণালি হিসেবেও উল্লেখ করেন তারা।
তারা বলেন, এ বিষয়ে উন্নত প্রযুক্তির সমন্বয়ে আরো বিস্তৃত পরিসরে গবেষণা হওয়া প্রয়োজন। একটি প্রায়োগিক গবেষণার মাধ্যমে এ-সম্পর্কিত আরো অনেক গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নের উত্তর বেরিয়ে আসতে পারে। প্রশ্নগুলো হচ্ছে— প্রযুক্তিনির্ভর সামাজিক যোগাযোগ বাস্তবিক যোগাযোগকে প্রতিস্থাপনের ক্ষমতা রাখে কিনা? সামাজিক দক্ষতায় এর প্রভাব কী? প্রযুক্তিনির্ভর দ্রুতগতির সামাজিক যোগাযোগের কারণে সম্পর্কের পরিণতি (ধনাত্মক ও ঋণাত্মক দুই অর্থেই) গতিশীল হয় কিনা? এতে সামাজিক বন্ধন দৃঢ় নাকি দুর্বল হয়? এ ধরনের যোগাযোগ স্বাস্থ্যের ওপর বাস্তবের সামাজিক সংসর্গের মতোই প্রভাব রাখে কিনা?
তারা বলেন, মানুষের দীর্ঘায়ুর সঙ্গে সঙ্গে নিঃসঙ্গতার মাত্রাও বাড়ছে। এতে স্বাস্থ্যঝুঁকিও বাড়ছে একই হারে। সবকিছুর ঊর্ধ্বে নিঃসঙ্গতা আমাদের মনোযোগ দাবি করছে।
সামাজিক বিচ্ছিন্নতা ও একাকিত্ব ক্ষতির কারণ হয়ে উঠতে পারে। মানসিক ও সামাজিক ক্ষেত্রের বাইরে এর রয়েছে শারীরিক প্রভাবও। একাকিত্বের কারণে বিভিন্ন ধরনের হূদরোগের পাশাপাশি স্ট্রোকের ঝুঁকি উল্লেখযোগ্য মাত্রায় বাড়ে বলে সাম্প্রতিক এক গবেষণায় জানা গেছে।
হূদযন্ত্রের ওপর দুশ্চিন্তা ও মানসিক চাপসমৃদ্ধ কাজের রয়েছে নেতিবাচক প্রভাব। বিভিন্ন গবেষণা সূত্রে এ কথা আগে থেকেই জানা। আর সাম্প্রতিক গবেষণায় জানা গেল, হূদযন্ত্রের ওপর অনুরূপ প্রভাব রয়েছে একাকিত্বেরও। হূদরোগ ও স্ট্রোকের ঝুঁকির সঙ্গে একাকিত্বের সম্পর্ক নিরূপণে ইউনিভার্সিটি অব ইয়র্ক, ইউনিভার্সিটি অব লিভারপুল ও নিউক্যাসল ইউনিভার্সিটির গবেষকরা এ-সম্পর্কিত বিভিন্ন তথ্য পর্যালোচনা করেন। তারা এ-বিষয়ক ২৩টি গবেষণা প্রতিবেদন বিশ্লেষণ করেন। এসব গবেষণায় অন্তত ১ লাখ ৮১ হাজার পূর্ণ বয়স্ক ব্যক্তি অংশগ্রহণ করেছিলেন। এদের মধ্যে ৪ হাজার ৬২৮ জন হূদরোগ ও ৩ হাজার ২ জন স্ট্রোকে আক্রান্ত হন। এসব গবেষণাপত্র পর্যালোচনায় দেখা যায়, সামাজিক বিচ্ছিন্নতা ও একাকিত্বের কারণে হূদরোগের ঝুঁকি ২৯ শতাংশ বাড়ে। পাশাপাশি স্ট্রোকের ঝুঁকি বাড়ে ৩২ শতাংশ। সম্প্রতি এ গবেষণা প্রতিবেদন হার্ট নামক জার্নালে প্রকাশ হয়েছে।
গবেষকদের মতে, দুর্বল সামাজিক সম্পর্কের সঙ্গে হূদযন্ত্র-সম্পর্কিত বিভিন্ন রোগের সংযোগ খুঁজে পাওয়া গেছে। দুশ্চিন্তা কিংবা চাপসংকুল কর্মপরিবেশের মতোই নিঃসঙ্গতাও অন্যতম একটি মনোসামাজিক ঝুঁকির উত্স। এ কারণে হূদরোগ ও স্ট্রোকের ঝুঁকি মোকাবেলায় সামাজিক বিচ্ছিন্নতা ও নিঃসঙ্গতাকে অন্যসব কারণের মতোই গুরুত্বসহকারে বিবেচনা করতে হবে। এ ধরনের রোগ প্রতিরোধে সামাজিক বিচ্ছিন্নতা ও একাকিত্ব মোকাবেলায় কৌশল নির্ধারণ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এছাড়া এসব রোগে আক্রান্ত ব্যক্তিদের কাছে সামাজিক সম্পর্কের তাত্পর্য তুলে ধরতে চিকিত্সকদেরও এগিয়ে আসা উচিত বলে তারা মনে করেন।
এর আগে বিভিন্ন গবেষণায় অকাল মৃত্যুর সঙ্গে নিঃসঙ্গতার সম্পর্কের কথা উঠে এলেও এবারই প্রথম সরাসরি হূদরোগের সঙ্গে এর যোগসূত্রের বিষয়টি সামনে এসেছে। সামাজিক বিচ্ছিন্নতার কারণে অকাল মৃত্যুর বিষয়টিতে যে অস্পষ্টতার সংকট ছিল, তা এ গবেষণার মাধ্যমে কেটে গেছে।
গবেষণাটির পরিপ্রেক্ষিতে যুক্তরাষ্ট্রের ব্রিগহাম ইয়াং ইউনিভার্সিটির দুই চিকিত্সক ড. জুলিয়ান হল্ট-লানস্ট্যাড ও ড. টিমোথি স্মিথ একটি মন্তব্য প্রতিবেদন লেখেন। এতে রোগীদের কাছে সামাজিক সম্পর্কের বিষয়টি তুলে ধরতে চিকিত্সকদের প্রতি আহ্বান জানান তারা। পাশাপাশি সামাজিক সম্পর্ক রক্ষা করাকে
‘স্বাস্থ্যকর জীবনযাপন’প্রণালি হিসেবেও উল্লেখ করেন তারা।
তারা বলেন, এ বিষয়ে উন্নত প্রযুক্তির সমন্বয়ে আরো বিস্তৃত পরিসরে গবেষণা হওয়া প্রয়োজন। একটি প্রায়োগিক গবেষণার মাধ্যমে এ-সম্পর্কিত আরো অনেক গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নের উত্তর বেরিয়ে আসতে পারে। প্রশ্নগুলো হচ্ছে— প্রযুক্তিনির্ভর সামাজিক যোগাযোগ বাস্তবিক যোগাযোগকে প্রতিস্থাপনের ক্ষমতা রাখে কিনা? সামাজিক দক্ষতায় এর প্রভাব কী? প্রযুক্তিনির্ভর দ্রুতগতির সামাজিক যোগাযোগের কারণে সম্পর্কের পরিণতি (ধনাত্মক ও ঋণাত্মক দুই অর্থেই) গতিশীল হয় কিনা? এতে সামাজিক বন্ধন দৃঢ় নাকি দুর্বল হয়? এ ধরনের যোগাযোগ স্বাস্থ্যের ওপর বাস্তবের সামাজিক সংসর্গের মতোই প্রভাব রাখে কিনা?
তারা বলেন, মানুষের দীর্ঘায়ুর সঙ্গে সঙ্গে নিঃসঙ্গতার মাত্রাও বাড়ছে। এতে স্বাস্থ্যঝুঁকিও বাড়ছে একই হারে। সবকিছুর ঊর্ধ্বে নিঃসঙ্গতা আমাদের মনোযোগ দাবি করছে।
No comments:
Post a Comment