o help others to grow is to enable ourselves to grow.
কেউ নেতিবাচক কোন কাজ করে বসলে আমরা খুব সহজেই তার ভুল ধরে ফেলি, সমালোচনাও করি প্রচন্ড। এর চেয়ে সহজ আর কোন কাজ দুনিয়াতে নেই। কিন্তু আমরা কি জানি সেই মানুষটির ভুল ধরে আমরা নিজেদেরকে নেতিবাচকতার দিকে ঠেলে দিচ্ছি? আমাদের মনের ভেতরকার শান্তি বিঘ্নিত করছি? আর এভাবেই আমরা মনের ভারসাম্য নষ্ট করছি তার ভুল ধরার মাধ্যমে?
কেউ যদি ভুল করেই বসে, আমাদের উচিত হবে তার সে কাজটি ভাল করে খতিয়ে দেখা, তাকে মন থেকে সাহায্য করা। এতে করে আমরা তাকে ইতিবাচকতার দিকেই এগিয়ে নিতে পারবো। আর এভাবে আমরাও ই্তিবাচকতার দিকে এগিয়ে আসতে থাকবো। ফলে আমরা উভয় পক্ষই ভাল ফল পেতে থাকবো।
মানুষ তার সমশ্রেণীর কাউকে কিংবা দ্বীনী ভাইকে সাহায্য করলে সেই কল্যাণটা নিজের দিকেই ফিরে আসে। অর্থাত অন্যের কল্যাণ করলে মূলত নিজেরই কল্যাণ হয়। কারণটা হলো যিনি কারো উপকার করছেন বা কারও কল্যাণার্থে আন্তরিকতার সাথে কাজ করেন তার মাধ্যমে আসলে সেই ব্যক্তি নিজেরই ব্যক্তিত্বকে পরিপূর্ণতা দান করেন।
এই সত্যটি স্বীকার করতে দ্বিধা নেই যে অন্যের উপকার করা একটা বদান্যতা, একটা অসাধারণ ঔদার্য ও গুণ। আমাদের সমাজের বহু লোক গুরুত্বপূর্ণ এই মানবিক বৈশিষ্ট্য থেকে বঞ্চিত এমনকি অপরের দু:খ কষ্ট উপলব্ধি করারও ক্ষমতা রাখে না। মনোবিজ্ঞানের দৃষ্টিতে যে লোক মানুষ ছাড়াও অন্যান্য প্রাণীর উপকার করাকে মানে জন্তু-জানোয়ার, পশুপাখি, গাছপালার সেবা করাকে নিজের একটি মৌলিক দায়িত্ব বলে মনে করে তারা অনেক বড় মাপের মানুষ হিসেবে পরিগণিত।
অন্যদিকে যারা অপরের সেবায় নিয়োজিত থাকে, পরোপকারী তারা সবসময় সুস্থ জীবনযাপন করে, আনন্দঘন জীবনযাপন করে।
কুরআনুল কারিম যে বিষয়টির প্রতি বেশি গুরুত্ব দিয়েছে তা হলো আপনি যদি কারও দিকে সাহায্য সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেন অর্থাত কারো সেবা করেন বা উপকার করেন, সেটা আসলে অন্যের উপকার নয় নিজেরই উপকার করলেন। সূরা বনি ইসরাইলের ৭নং আয়াতে বলা হয়েছে: "দেখো, তোমরা ভালো কাজ করে থাকলে তা তোমাদের নিজেদের জন্যই ভাল ছিল”। তার মানে মানুষ তার সমগোত্রীয়কে কিংবা দ্বীনী ভাইকে যে সাহায্য সহযোগিতা করে তা প্রকৃতপক্ষে সাহায্যকারীর নিজের ভাণ্ডারেই জমা হয়। কারণ, সেবাকারী ব্যক্তি ওই সাহায্য সহযোগিতা করে নিজের ব্যক্তিত্বকে পরিপূর্ণ করে তোলে। এভাবেই ব্যক্তির অস্তিত্ব পূর্ণতায় পৌঁছার পথ সুগম হয়।
মানুষের সেবা ও সহযোগিতা করা এমন একটি গুণ যা সবসময়ই শুভ ও কল্যাণ বয়ে আনে। আল্লাহর নৈকট্য লাভের বিষয়টি ত্বরান্বিত করার পাশাপাশি বিচিত্র বালা মুসিবত দূর হয়ে যায়। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়টি হলো সেবার প্রতিদান হিসেবে আল্লাহর কাছে প্রিয় হয়ে ওঠার সুযোগ তৈরি হয়। আর কে না জানে আল্লাহর প্রিয় হওয়া মানেই তাঁর দয়া ও রহমত লাভের পথ সুগম হয়ে যায়। দ্বীনী শিক্ষা তো এরকম যে, তুমি যদি কোনোদিন নফল রোজা রাখো এবং কেউ যদি তোমাকে তার বাসায় দাওয়াত করে, তাহলে বলো না রোজা রেখেছো, তুমি বরং তার দাওয়াত গ্রহণ করো! তার বাসায় যাও এবং খাও! আল্লাহ তোমাকে সেই রোজার সওয়াব দান করবেন। কেননা এ কাজের মাধ্যমে তুমি একজন মুসলমানের অন্তরকে আনন্দে ভাসাতে সহযোগিতা করেছো। এই প্রসঙ্গে রাসুল (সা) বলেছেন: তুমি যদি আল্লাহর সাহায্য পেতে চাও তাহলে মানুষকে সাহায্য করো!
It is easy to raise our voices and complain when we encounter someone else’s negativity. This disturbs our own inner calm and we become caught up with that negativity, when thrown off balance in this way, we are unable to give the other person the support he or she needs.
When someone is doing something wrong, I need to see what I can do to help that person, there is surely something I can contribute toward the growth of each and every human being. When I focus on how best is it to offer my help, I do not become caught up with negativity and I can transform the situation into one that benefits us both.
No comments:
Post a Comment