Monday, May 18, 2020

মানুষের কল্যাণে নিয়োজিত থাকো



ইসলামের পবিত্র ঝর্নাধারার পানি যে মুসলিমের আত্মা প্রশান্ত করেছে সে তো সব সময় মানুষের কল্যান সাধনে ও অকল্যাণ দূরীকরণে নিয়োজিত থাকবে। স্বাভাবিকভাবেই সত্য, কল্যাণ ও মর্যাদার ভিত্তি আশ্রয় করে গড়ে ওঠার কারণে একজন মুসলিম গঠনমূলক উপকারী ও পজিটিভ মনোভাবে অধিকারী হয়ে ওঠে। কল্যাণ সাধনের কোন সুযোগ দেখতে পেলেই সেটা কাজে না লাগিয়ে হেলায় নষ্ট করবে না। সে জানবে যে কল্যাণের কাজ নিয়ে যায় সফলতার দিকে। আল্লাহ বলেন,
“এবং নেক কাজ করো, হয়তো তোমাদের ভাগ্যে সফলতা আসবে৷” –সূরা আল হাজ্জ, আয়াত ৭৭
Waf’alul khaira la'allakum tuflihoon

এটি একটি রাজকীয় বর্ণনা পদ্ধতি৷ বাদশাহ যদি তাঁর কোন কর্মচারীকে বলেন, অমুক কাজটি করো, হয়তো তুমি অমুক পদটি পেয়ে যাবে, তখন কর্মচারীর গৃহে খুশীর বাদ্য বাজতে থাকে৷ কারণ, এর মধ্যে রয়েছে আসলে একটি প্রতিশ্রুতির ইংগিত৷ কোন সদাশয় প্রভুর কাছ থেকে কখনো এটি আশা করা যেতে পারে না যে, কোন কাজের পুরস্কার স্বরূপ কাউকে তিনি নিজেই কিছু দান করার আশা দেবেন এবং তারপর নিজের বিশ্বস্ত সেবককে হতাশ করবেন৷


মু’মিন প্রতিনিয়ত কল্যানের দিকে ছুটবে। প্রতিটি পদক্ষেপে সে আল্লাহর কাছ থেকে পুণ্য কামনা করবে। হাদীসে এসেছে-
“সূর্য উঠেছে এমন সকল দিনে বিবদমান ২ জনের ভেতর ইনসাফের সাথে বিবাদ মিটে ফেলানো “সাদাক্কাহ’। কাউকে বাহনে উঠতে সাহায্য করলে বা বাহনে কোন মাল তুলে দিতে সাহায্য করলে সেটা ‘সাদাক্কাহ’। ভালো কথা বলা ‘সাদাক্কাহ।’ সালাতের দিকে প্রতিটি পদক্ষেপ ‘সাদাক্কাহ।’ রাস্তা থেকে কষ্টদায়ক জিনিস সরিয়ে ফেলা ‘সাদাক্কাহ।’ -বুখারী, মুসলিম

সামাজিক জীবনে মুসলিম যত কল্যাণমূলক কাজ করে সেগুলোর সাথে সালাতের দিকে হেঁটে যাওয়ার কী চমতকার যোগাযোগ! এক মার্ভেলাস কম্বিনেশন।
রেফা: দ্য আইডিয়াল মুসলিম, মুহ: আলী আল হাশেমী, মদীনা ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়

No comments:

Post a Comment