দুনিয়ার
জীবনে এদের মধ্যে জীবন যাপনের উপায় উপকরণ আমি বণ্টন করেছি এবং এদের মধ্য থেকে কিছু
লোককে অপর কিছু সংখ্যক লোকের ওপর অনেক বেশী মর্যাদা দিয়েছি, যাতে এরা একে অপরের সেবা
গ্রহণ করতে পার৷
-সূরা আয যুখরুফ: ৩২ আয়াতাংশ
Nahnu qasamnaa
bainahum ma'eeshatahum fil hayaatid dunyaa wa rafa'naa ba'dahum fawqa ba'din
darajaatil liyattakhiza ba'duhum ba'dan sukhriyyaa
পৃথিবীতে জীবন যাপন করার যে সাধারণ উপায় -উপকরণ আছে তার বন্টন
ব্যবস্থাও আল্লাহ নিজের হাতেই রেখেছেন, অন্য কারো হাতে তুলে দেননি৷ আল্লাহ কাউকে সুশ্রী
এবং কাউকে কুশ্রী, কাউকে সুকন্ঠের অধিকারী এবং কাউকে অপ্রিয় কন্ঠের অধিকারী, কাউকে
শক্তিশালী - সুঠামদেহী এবং কাউকে দুর্বল, কাউকে মেধাবী এবং কাউকে মেধাহীন, কাউকে মজবুত
স্মৃতি শক্তির অধিকারী এবং কাউকে স্মৃতিশক্তিহীন, কাউকে সুস্থ অঙ্গ - প্রত্যাঙ্গেও
অধিকারী, কাউকে বিকলাঙ্গ, অন্ধ অথবা বোবা, কাউকে আমীর পুত্র এবং কাউকে গরীবের পুত্র,
কাউকে উন্নত জাতির সদস্য এবং কাউকে পরাধীন অথবা পশ্চাদপদ জাতির সদস্য হিসেবে সৃষ্টি
করেছেন। জন্মগত এই ভাগ্যের ব্যাপারে কেউ সামান্যতম কর্তৃত্বও খাটাতে পারে না৷ আল্লাহ
যাকে যা বানিয়েছেন সে তাই হতে বাধ্য এবং কারো তাকদীরের ওপর এই ভিন্ন ভিন্ন জন্মগত অবস্থার
যে প্রভাবই পড়ে তা পাল্টে দেয়ার সাধ্য কারো নেই৷ তাছাড়া আল্লাহ মানুষের মধ্যে রিযিক,
ক্ষমতা, মর্যাদা, খ্যাতি, সম্পদ ও শাসন কর্তৃত্ব ইত্যাদি বন্টন করেন৷ যে আল্লাহর পক্ষ
থেকে সৌভাগ্য লাভ করে কেউ তার মর্যাদাহানি করতে পারে না৷ আর আল্লাহর পক্ষ থেকে যার
জন্য দুর্ভাগ্যে ও অধঃপতন এসে যায় কেউ তাকে পতন থেকে রক্ষা করতে পারে না৷ আল্লাহর সিদ্ধান্তের
মোকাবিলায় মানুষের সমস্ত চেষ্টা ও কৌশল কোন কাজেই আসে না৷
No comments:
Post a Comment