Sunday, June 30, 2024

পেঁয়াজের রসেই চুল পড়া বন্ধ

 এমনিতেই দৈনন্দিনের রান্নার কাজে বাড়িতে ব্যবহার করা হয় পেঁয়াজ। তবে এই পেঁয়াজ কিন্তু বিভিন্ন ভাবে উপকারে লাগে। মূলত পেঁয়াজের রস উল্লেখযোগ্য ভাবে বহু উপকারে লাগানো যায়।

অভিজ্ঞ আয়ুর্বেদ চিকিৎসক সুখদেব শর্মা জানান, বর্তমান সময়ে চুলের নানা সমস্যায় নাজেহাল হচ্ছেন বহু মানুষ। তবে চুলের ক্ষেত্রে সঠিক পরিচর্চা নিতে পেঁয়াজের রস ব্যবহার করা ভাল।
পেঁয়াজের রসে রয়েছে সালফার এবং অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল বৈশিষ্ট্য। এছাড়াও রয়েছে অ্যান্টি- অক্সিডেন্ট। এই সকল উপাদান চুলের স্বাস্থ্যে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
মাথার ত্বকে পেঁয়াজের রস লাগালে তা রক্ত সঞ্চালনকে উন্নত করে তোলে। ফলে চুলের ফলিকল গুলি চুলের বৃদ্ধির জন্য প্রয়োজনীয় পুষ্টি এবং অক্সিজেন গ্রহণ করতে পারে। ফলে চুলের স্বাস্থ্য ভাল থাকে।
পেঁয়াজের রসেঅ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি বৈশিষ্ট্য থাকায় এটি মাথার ত্বককে প্রশমিত করে। চুলের বৃদ্ধিতে বাধা দিতে পারে এমন কোনও প্রদাহ বা জ্বালা কমাতে পারে খুব সহজেই। ফলে চুল দ্রুত বৃদ্ধি পায়।
পেঁয়াজের রস মাথার ত্বকের সংক্রমণ এবং খুশকির বিরুদ্ধে লড়াই করে। ফলে চুল পাতলা এবং ক্ষতির হাত থেকে মুক্তি পায়। মাথার ত্বকের মধ্যে স্বাস্থ্যকর পরিবেশ থাকে ফলে চুল ভাল থাকে।
পেঁয়াজে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট রয়েছে প্রচুর পরিমাণে। এটি চুলের ফলিকল গুলিকে অক্সিডেটিভ স্ট্রেস থেকে রক্ষা করতে পারে খুব সহজেই। ফলে চুল বার্ধক্য এবং ক্ষতির হাত থেকে সহজেই রক্ষা পায়।
সংবেদনশীল ত্বকের ক্ষেত্রে এই রসে সামান্য জল দিয়ে পাতলা করতে হবে। এছাড়া নারকেল তেলের সঙ্গে মাখা যেতে পারে এই রস। তুলোর বল বা আঙ্গুল দিয়ে হালকা ম্যাসাজ করে লাগাতে হবে।
পেঁয়াজের রস মাথার ত্বকে কমপক্ষে ৩০ মিনিটের জন্য লাগিয়ে রাখতে হবে। যাতে মাথায় ভাল মতন বসে যায়। এছাড়া ভাল ফলাফলের জন্য এটি এক ঘন্টা বা এমনকি সারারাত রেখে দিলে ভাল।
হালকা গরম জলে চুল ধুয়ে নিতে হবে আগে। তারপর শ্যাম্পু করতে হবে ভাল ভাবে। ভাল ফলের জন্য সপ্তাহে দুই থেকে তিনবার এই রস লাগানো উচিত। তবে কয়েক সপ্তাহেই ফল পাওয়া যাবে।
পেঁয়াজের রস সাধারণত বেশিরভাগ মানুষের জন্য নিরাপদ। তবে সংবেদনশীল ত্বকে জ্বালা হতে পারে। এক্ষেত্রে পুরো মাথায় রস প্রয়োগের আগে, একটি ছোট অংশে লাগিয়ে পরীক্ষা করতে হবে।
May be an image of text
All reactions:

No comments:

Post a Comment