মহিলাদের নামাযের পোশাক কেমন হবে?

জেনে নিন, মহিলাদের নামাযের পোশাক কেমন হবে!! কতটুকু ঢাকা জরুরী!! এবং খিমারের প্রয়োজনীয়তা। কাজের ফাকে নামাজের সময় হয়ে গেলে শরীর পবিত্র থাকলেই সহজে খিমারটি পরিধান করে বিশুদ্ধভাবে নামাজ আদায় করা যায়।

নামাজ শুদ্ধ হওয়ার পূর্ব শর্ত হলো, পরিপূর্ণ সতর ঢেকে নামাজ আদায় করা।

নামাযে মহিলাদের পুরা শরীরই সতর, শুধুমাত্র মুখ, হাতের কবজি ছাড়া।

তাই তিন তাসবিহ পরিমান সতর বের হয়ে গেলে নামাজ নষ্ট হয়ে যায়। শাড়ি, মেক্সি, শর্ট হিজাবে মাথা থেকে ফ্লোর পর্যন্ত পরিপূর্ণ সতর ঢাকেনা তাই হাদিসে নামাজে আদায়ের জন্য খিমার পরিধানে ব্যপারে বলা হয়েছে।

আর খিমারের ব্যপারে রাসূলুল্লাহ সাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন,

لا تقبل صلاة الحائض إلا بخمار

হাদিসের অর্থঃ

খিমার পরিধান ছাড়া কোনো প্রাপ্ত বয়স্কা নারীর নামাজ কবূল হবেনা৷ (তিরমিজি ৩৭৭, মিশকাত ৭৬২ ও আবু দাউদ ৬৪১)

খিমার মানে, আলাদা একটি কাপড়/পোষাক যেটি গোটা শরীরকে ঢেকে রাখবে৷

চুল, পায়ের পাতার উপরের অংশ কিংবা হাতের কবজি ও মুখ ছাড়া অন্য কোনো অঙ্গ বের থাকলে তার সতর লঙ্ঘন হবে। অতএব, তার নামাজ বিশুদ্ধ হবেনা৷

শাড়ি ওড়া কিংবা শর্ট হিজাবে পরিপূর্ণ সতর ঢাকেনা বরং শরীরের কিছু অংশ বের হয়ে থাকে অথবা পায়ের পাতার উপরের অংশ বের হয়ে থাকে৷

তাই সম্পূর্ণ বডি কাভার করে এমন খিমার পরিধান করা জরুরী।

নামাজের আল্লাহর সামনে দাঁড়াতে সাজসজ্জাপূর্ণ পোশাক এর ব্যপারেও আল্লাহ আদেশ করেছেন, হে বনি আদাম, তোমরা নামাজে সাজসজ্জাপূর্ণ পোশাক পরিধান করো।